কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ৩২ হাজার প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি বহাল। উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে পরোক্ষ নিশানা তৃণমূলের।
কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৪ টেটের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩২ হাজার প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি খারিজের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বাতিল করতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। রায় প্রকাশের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “খুব ভাল হয়েছে। আমি খুব খুশি। প্রাথমিক শিক্ষকদের মানবিক দিকটি আদালত দেখেছে, পরিবারগুলিকে বাঁচানো হয়েছে—এটাই সবচেয়ে বড় কথা।” তবে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিলেন এবং পরে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁর নাম উচ্চারণ করতেও নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, “আমার কারও সম্পর্কে কিছু বলার নেই। কথায় কথায় আদালতে যাওয়া আর লোকের চাকরি খেয়ে নেওয়া—এগুলো আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ চাকরি দেওয়া।”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রায়কে রাজ্য সরকারের দীর্ঘ লড়াইয়ের সার্থকতা হিসেবে দেখছেন। তাঁর কথায়, “গত পাঁচ বছর ধরে এই মামলার আক্রমণ–অভিযোগ–কোর্ট–কাছারি সামলাতে হয়েছে। আমাদের পরের কাজ SSC-র যোগ্য চাকরি হারানোদের স্বচ্ছতার সঙ্গে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া। প্রাথমিকের পর যদি তাঁদের হাতেও নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারি, তাহলেই আমাদের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে।" একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে পক্ষপাতের অভিযোগ মানুষই বিচার করবে।
রায় সামনে আসতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে রাজ্য সরকারও। মন্ত্রী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি আক্রমণ শানান বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতির দিকে। তিনি বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, কিন্তু কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ন’ বছর চাকরি করার পর অভিযোগের ভিত্তিতে চাকরি কেড়ে নেওয়া ঠিক হয়নি। ভাল রায় দিয়েছে আদালত, আমরা কৃতজ্ঞ।” এরপরই তাঁর সরাসরি মন্তব্য, “কোনও বিচারপতির যদি রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা থাকে—যেমন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছিল—তাহলে বিচারব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সেটা আমরা দেখেছি।”
ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বলা হয়েছে, সব নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নয় বছর ধরে কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি খারিজ করলে তা তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য “অসীম ক্ষতি” বয়ে আনবে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্তে ২৬৪ জন ও পরে আরও ৯৬ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের যুক্তি আদালত খারিজ করেছে। ব্যর্থ প্রার্থীদের অভিযোগ ও সিস্টেমেটিক দুর্নীতির দাবিও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে আদালত গুরুত্ব দেয়নি।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগে ২৫ হাজারের বেশি চাকরি বাতিলের রায় বহাল রেখেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে ২০১৪ টেট মামলায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি রক্ষা—রাজ্য সরকারের কাছে যেমন বড় স্বস্তির খবর, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে তর্ক-বিতর্কের আগুন জ্বেলেছে।
কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৪ টেটের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩২ হাজার প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি খারিজের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বাতিল করতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। রায় প্রকাশের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “খুব ভাল হয়েছে। আমি খুব খুশি। প্রাথমিক শিক্ষকদের মানবিক দিকটি আদালত দেখেছে, পরিবারগুলিকে বাঁচানো হয়েছে—এটাই সবচেয়ে বড় কথা।” তবে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিলেন এবং পরে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁর নাম উচ্চারণ করতেও নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, “আমার কারও সম্পর্কে কিছু বলার নেই। কথায় কথায় আদালতে যাওয়া আর লোকের চাকরি খেয়ে নেওয়া—এগুলো আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ চাকরি দেওয়া।”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রায়কে রাজ্য সরকারের দীর্ঘ লড়াইয়ের সার্থকতা হিসেবে দেখছেন। তাঁর কথায়, “গত পাঁচ বছর ধরে এই মামলার আক্রমণ–অভিযোগ–কোর্ট–কাছারি সামলাতে হয়েছে। আমাদের পরের কাজ SSC-র যোগ্য চাকরি হারানোদের স্বচ্ছতার সঙ্গে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া। প্রাথমিকের পর যদি তাঁদের হাতেও নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারি, তাহলেই আমাদের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে।" একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে পক্ষপাতের অভিযোগ মানুষই বিচার করবে।
রায় সামনে আসতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে রাজ্য সরকারও। মন্ত্রী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি আক্রমণ শানান বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতির দিকে। তিনি বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, কিন্তু কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ন’ বছর চাকরি করার পর অভিযোগের ভিত্তিতে চাকরি কেড়ে নেওয়া ঠিক হয়নি। ভাল রায় দিয়েছে আদালত, আমরা কৃতজ্ঞ।” এরপরই তাঁর সরাসরি মন্তব্য, “কোনও বিচারপতির যদি রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা থাকে—যেমন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছিল—তাহলে বিচারব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সেটা আমরা দেখেছি।”
ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বলা হয়েছে, সব নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নয় বছর ধরে কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি খারিজ করলে তা তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য “অসীম ক্ষতি” বয়ে আনবে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্তে ২৬৪ জন ও পরে আরও ৯৬ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের যুক্তি আদালত খারিজ করেছে। ব্যর্থ প্রার্থীদের অভিযোগ ও সিস্টেমেটিক দুর্নীতির দাবিও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে আদালত গুরুত্ব দেয়নি।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগে ২৫ হাজারের বেশি চাকরি বাতিলের রায় বহাল রেখেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে ২০১৪ টেট মামলায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি রক্ষা—রাজ্য সরকারের কাছে যেমন বড় স্বস্তির খবর, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে তর্ক-বিতর্কের আগুন জ্বেলেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন