হাই কোর্ট প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বহাল রাখল। রায় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা : প্রাথমিকে ৩২ হাজার নিয়োগ বাতিলের রায় খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কার্যত বহাল থাকল ২০১৪ সালের টেট-উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, সব নিয়োগে দুর্নীতি প্রমাণিত হয়নি, এবং নয় বছর পর চাকরি কেড়ে নেওয়া হলে শিক্ষকদের ও তাদের পরিবারগুলোর জীবনে 'অসীম অস্থিরতা' তৈরি হবে। সিবিআই তদন্তে মাত্র ২৬৪ জনের নিয়োগে অনিয়ম ধরা পড়েছে, পরে আরও ৯৬ জন নজরদারিতে এসেছে। ফলে গোটা নিয়োগ বাতিলের কোনও যুক্তি নেই বলেই মত বিচারপতিদের।
তবে এই রায় নিয়েই মুখ খুলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি ও বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, “যে কারণ দেখিয়ে ৩২ হাজারের চাকরি রাখা হল, সেটি সঠিক নয়। ২৬ হাজার চাকরি যখন বাতিল হয়েছিল, তারাও তো বহু বছর চাকরি করেছিল। তাহলে কি সেই রায় ভুল ছিল?” যদিও তিনি এটিও স্পষ্ট করেছেন যে ডিভিশন বেঞ্চের বিচার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে এবং তারা যা প্রয়োজন মনে করেছেন তা-ই করেছেন।
২০১৬ সালের মধ্য-বিদ্যালয় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সুপ্রিম কোর্ট যেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি চাকরি বাতিল বহাল রেখেছিল, সেখানে ২০১৪-র প্রাথমিক নিয়োগে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাতিলের পক্ষে যায়নি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
নানা অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া, অভ্যন্তরীণ গড়মিল, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না থাকা—এসব থেকেই রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ের সূত্রপাত। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিক শুনানি শুরু হয় ডিভিশন বেঞ্চে। অবশেষে বুধবার সেই মামলার নিষ্পত্তি—৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক আপাতত চাকরিতে বহাল।
কলকাতা : প্রাথমিকে ৩২ হাজার নিয়োগ বাতিলের রায় খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কার্যত বহাল থাকল ২০১৪ সালের টেট-উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, সব নিয়োগে দুর্নীতি প্রমাণিত হয়নি, এবং নয় বছর পর চাকরি কেড়ে নেওয়া হলে শিক্ষকদের ও তাদের পরিবারগুলোর জীবনে 'অসীম অস্থিরতা' তৈরি হবে। সিবিআই তদন্তে মাত্র ২৬৪ জনের নিয়োগে অনিয়ম ধরা পড়েছে, পরে আরও ৯৬ জন নজরদারিতে এসেছে। ফলে গোটা নিয়োগ বাতিলের কোনও যুক্তি নেই বলেই মত বিচারপতিদের।
তবে এই রায় নিয়েই মুখ খুলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি ও বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, “যে কারণ দেখিয়ে ৩২ হাজারের চাকরি রাখা হল, সেটি সঠিক নয়। ২৬ হাজার চাকরি যখন বাতিল হয়েছিল, তারাও তো বহু বছর চাকরি করেছিল। তাহলে কি সেই রায় ভুল ছিল?” যদিও তিনি এটিও স্পষ্ট করেছেন যে ডিভিশন বেঞ্চের বিচার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে এবং তারা যা প্রয়োজন মনে করেছেন তা-ই করেছেন।
২০১৬ সালের মধ্য-বিদ্যালয় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সুপ্রিম কোর্ট যেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি চাকরি বাতিল বহাল রেখেছিল, সেখানে ২০১৪-র প্রাথমিক নিয়োগে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাতিলের পক্ষে যায়নি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
নানা অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া, অভ্যন্তরীণ গড়মিল, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না থাকা—এসব থেকেই রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ের সূত্রপাত। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিক শুনানি শুরু হয় ডিভিশন বেঞ্চে। অবশেষে বুধবার সেই মামলার নিষ্পত্তি—৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক আপাতত চাকরিতে বহাল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন