বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্পূর্ণ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশের সংবিধান ও ভোটাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।”
নয়াদিল্লি : ভারতের একটি গোপন স্থানে ১৫ মাসের নির্বাসন শেষে অবশেষে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক বিশেষ ই-মেল সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে তাঁর দল আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। দীর্ঘ নীরবতার পর প্রথমবারের মতো তিনি প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন—২০২৪ সালের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ চলাকালীন ‘হাজারো নাগরিক হত্যার’ ঘটনায় তিনি ‘নেতৃত্বের দায়’ নিচ্ছেন। যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও পদক্ষেপই তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশে হয়নি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের হয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী। সেই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, “গত বছরের বিক্ষোভে প্রতিটি প্রাণহানির জন্য আমি শোকাহত। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্বের দায় আমার, কিন্তু আমি কখনও নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর বা বলপ্রয়োগের নির্দেশ দিইনি। তারা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিল দেশকে গৃহযুদ্ধের হাত থেকে বাঁচাতে।” তিনি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখিত ১৪০০ জন নিহতের পরিসংখ্যান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, “এটি বাস্তবের তুলনায় অনেক বেশি, এবং অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের রাজনৈতিক প্রচারের জন্য ওই সংখ্যাটি ব্যবহার করছে।”
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্পূর্ণ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশের সংবিধান ও ভোটাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।” তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই, কিন্তু অবৈধ প্রশাসন আমাদের নিষিদ্ধ করেছে। এই বয়কট ও নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি বন্ধ না হলে দেশ কখনও গণতান্ত্রিক স্থিতি ফিরে পাবে না।”
তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, শেখ হাসিনা চান একটি ‘অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন’ হোক, যাতে দেশের রাজনীতি আবার স্বাভাবিক পথে ফিরে আসে। “আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো বৈধ সরকার গঠন সম্ভব নয়,”—বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, “রাষ্ট্রসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে।”
২০২৪ সালের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়েও হাসিনার বক্তব্য স্পষ্ট। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের নির্বাচন স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই নয়বার ক্ষমতায় এসেছে। আমরা কখনও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করিনি।” তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারই স্বচ্ছ ভোটব্যবস্থার জন্য ছবিভিত্তিক ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মতো সংস্কার এনেছিল।
তবে শেখ হাসিনা এটাও স্বীকার করেন যে, অতীতে কিছু নির্বাচন সত্যিই ‘অংশগ্রহণমূলক ছিল না’, কারণ বিরোধীরা ভোট বয়কট করেছিল। তাঁর মতে, “এই চক্রটা ভাঙতে হবে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও আধুনিক ইতিহাসের অংশ। জনগণের স্বীকৃতি ছাড়া কোনও সরকার টিকবে না।”
দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসিনা সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “আমার পরিবার বা দলের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। যে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা হাস্যকর। ওই পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশের পুরো বাজেটের চেয়েও বেশি! যদি এমন কিছু ঘটত, দেশ দেউলিয়া হয়ে যেত।” তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, “মুহাম্মদ ইউনূসই এখন বিপুল সম্পত্তির মালিক—পুর্বাচলে রিসর্ট, উত্তরায় জমি, ব্যাংক জুড়ে কোটি কোটি টাকার আমানত। তিনি ১৯৯০ সালে মাত্র ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন, এখন কীভাবে এত সম্পদ?”
তাঁর মতে, অন্তর্বর্তী সরকার ও বিদেশি মহল একত্রে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে। তবে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাসিনা আপাতত নীরব থাকেন।
১৫ মাসের নীরবতা ভেঙে শেখ হাসিনার এই সাক্ষাৎকার নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তিনি একদিকে নিজের দায় স্বীকার করছেন, অন্যদিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন—আওয়ামী লীগই গণতন্ত্রের পথে দেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে মূল শক্তি হতে পারে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের হয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী। সেই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, “গত বছরের বিক্ষোভে প্রতিটি প্রাণহানির জন্য আমি শোকাহত। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্বের দায় আমার, কিন্তু আমি কখনও নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর বা বলপ্রয়োগের নির্দেশ দিইনি। তারা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিল দেশকে গৃহযুদ্ধের হাত থেকে বাঁচাতে।” তিনি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখিত ১৪০০ জন নিহতের পরিসংখ্যান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, “এটি বাস্তবের তুলনায় অনেক বেশি, এবং অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের রাজনৈতিক প্রচারের জন্য ওই সংখ্যাটি ব্যবহার করছে।”
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্পূর্ণ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশের সংবিধান ও ভোটাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।” তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই, কিন্তু অবৈধ প্রশাসন আমাদের নিষিদ্ধ করেছে। এই বয়কট ও নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি বন্ধ না হলে দেশ কখনও গণতান্ত্রিক স্থিতি ফিরে পাবে না।”
তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, শেখ হাসিনা চান একটি ‘অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন’ হোক, যাতে দেশের রাজনীতি আবার স্বাভাবিক পথে ফিরে আসে। “আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো বৈধ সরকার গঠন সম্ভব নয়,”—বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, “রাষ্ট্রসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে।”
২০২৪ সালের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়েও হাসিনার বক্তব্য স্পষ্ট। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের নির্বাচন স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই নয়বার ক্ষমতায় এসেছে। আমরা কখনও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করিনি।” তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারই স্বচ্ছ ভোটব্যবস্থার জন্য ছবিভিত্তিক ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মতো সংস্কার এনেছিল।
তবে শেখ হাসিনা এটাও স্বীকার করেন যে, অতীতে কিছু নির্বাচন সত্যিই ‘অংশগ্রহণমূলক ছিল না’, কারণ বিরোধীরা ভোট বয়কট করেছিল। তাঁর মতে, “এই চক্রটা ভাঙতে হবে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও আধুনিক ইতিহাসের অংশ। জনগণের স্বীকৃতি ছাড়া কোনও সরকার টিকবে না।”
দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসিনা সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “আমার পরিবার বা দলের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। যে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা হাস্যকর। ওই পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশের পুরো বাজেটের চেয়েও বেশি! যদি এমন কিছু ঘটত, দেশ দেউলিয়া হয়ে যেত।” তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, “মুহাম্মদ ইউনূসই এখন বিপুল সম্পত্তির মালিক—পুর্বাচলে রিসর্ট, উত্তরায় জমি, ব্যাংক জুড়ে কোটি কোটি টাকার আমানত। তিনি ১৯৯০ সালে মাত্র ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন, এখন কীভাবে এত সম্পদ?”
তাঁর মতে, অন্তর্বর্তী সরকার ও বিদেশি মহল একত্রে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে। তবে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাসিনা আপাতত নীরব থাকেন।
১৫ মাসের নীরবতা ভেঙে শেখ হাসিনার এই সাক্ষাৎকার নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তিনি একদিকে নিজের দায় স্বীকার করছেন, অন্যদিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন—আওয়ামী লীগই গণতন্ত্রের পথে দেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে মূল শক্তি হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন