একজন ৫৪ বছর বয়সী পুরুষ প্রতিদিন একবার হস্তমৈথুন করলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে—ভালো না খারাপ? চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীদের মতামত জানুন। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি। লিখছেন দেবজ্যোতি
বয়স পঞ্চাশের ঘর পেরোলেই অনেক পুরুষের মনে প্রশ্ন জাগে—এই বয়সে প্রতিদিন হস্তমৈথুন করা কি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর? এতে কি “ভাও” পড়ে, শক্তি কমে যায়, নাকি এটি একেবারেই স্বাভাবিক অভ্যাস? চিকিৎসক ও যৌনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষয়টি নিয়ে সমাজে বহু ভুল ধারণা আছে, কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
কলকাতার এক নামি ইউরোলজিস্ট বলেন, “বয়স যতই হোক, হস্তমৈথুন কোনও রোগ নয় বা শরীরের ক্ষয়ের কারণ নয়। এটি একটি প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। প্রতিদিন একবার হস্তমৈথুন করলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না, বরং মানসিক প্রশান্তি ও প্রস্টেট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।” তাঁর মতে, শরীর থেকে বীর্যপাতের সময় যে তরল বের হয়, তাতে কিছু প্রোটিন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি থাকে, কিন্তু এই পরিমাণ এতই কম যে তা শরীরে কোনও ঘাটতি তৈরি করে না। নিয়মিত হস্তমৈথুন প্রস্টেটের অভ্যন্তরে জমে থাকা তরলকে পরিশুদ্ধ করে, যা বয়সজনিত প্রস্টেট ইনফ্লামেশন বা ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
মনোবিজ্ঞানী ও সেক্স থেরাপিস্ট বলেন, “অনেক পুরুষ ভাবেন, হস্তমৈথুন করলে শরীরে দুর্বলতা আসে, যৌনশক্তি নষ্ট হয়, বা মনোযোগ কমে যায়। এগুলো কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। বরং এটি মনের চাপ কমায়, ঘুম ভালো করে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুভূতি বাড়ায়।” তাঁর মতে, ৫০ বছর পর পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কিছুটা কমে যায়, ফলে যৌন ইচ্ছা বা স্ট্যামিনা তরুণ বয়সের মতো থাকে না। কিন্তু নিয়মিত হস্তমৈথুন করলে রক্তসঞ্চালন সচল থাকে, স্নায়ু সক্রিয় থাকে এবং যৌন অঙ্গের কার্যক্ষমতা দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
চিকিৎসকরা একমত যে, প্রতিদিন হস্তমৈথুন করা শরীরের ক্ষতি করে না, যতক্ষণ এটি অতিরিক্ত হয়ে না যায় বা মানসিক নির্ভরতার রূপ না নেয়। যদি কেউ প্রতিদিনের হস্তমৈথুনের পর ক্লান্তি, অবসাদ, বা দৈনন্দিন কাজে অনীহা অনুভব করেন, তবে সেটি শরীরের নয়, মনের সমস্যা। অতিরিক্ত নির্ভরতা অনেক সময় compulsive behavior বা মানসিক অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। কিন্তু একজন সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ মানসিকতার মানুষ যদি প্রতিদিন একবার যৌন উত্তেজনা মেটান, তাতে শরীর বা মনের কোনও স্থায়ী ক্ষতি হয় না।
আর এক চিকিৎসক, যিনি পুরুষ যৌনস্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন, বলেন, “৫০ বছরের পর যৌনজীবন শেষ হয়ে যায়—এই ধারণা একেবারে ভুল। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে যৌনজীবন অনেক বছর সক্রিয় থাকে। হস্তমৈথুন এরই অংশ হতে পারে। এতে শরীরের রক্তসঞ্চালন ঠিক থাকে, প্রস্টেট গ্রন্থি পরিষ্কার থাকে এবং মানসিক চাপ হ্রাস পায়। এটি কোনওভাবেই ক্ষতিকর নয়।”
মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও হস্তমৈথুন একটি সেফ আউটলেট। এটি যৌন ফ্যান্টাসিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অনিচ্ছাকৃত যৌন আচরণ বা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পর্ক থেকে বিরত রাখে। বহু আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বীর্যপাত প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকেরা এখন এটিকে এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ হিসেবে দেখেন।
তবে শরীরের বিশ্রাম ও পুষ্টির দিকে নজর রাখা জরুরি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়, তাই পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার, ফল, সবজি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং নিয়মিত হাঁটা বা যোগব্যায়াম যৌনস্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এই অভ্যাসের সঙ্গে হস্তমৈথুনের কোনও বিরোধ নেই; বরং এরা পরস্পরকে পরিপূরক করে।
সবশেষে বিশেষজ্ঞদের একবাক্যে মত, একজন ৫৪ বছর বয়সী পুরুষ প্রতিদিন একবার হস্তমৈথুন করলে শরীরে কোনও প্রভাব পড়ে না বা যৌনক্ষমতা নষ্ট হয় না। এটি শরীরের জন্য যেমন নিরীহ, তেমনি মানসিকভাবে উপকারীও হতে পারে। মূল কথা হচ্ছে ভারসাম্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণ—যতক্ষণ এটি সুস্থ জীবনযাপনের অংশ হিসেবে থাকে, ততক্ষণ এটি নিয়ে অপরাধবোধ বা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং এই বয়সেও যৌন চাহিদাকে লজ্জার বিষয় না ভেবে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করাই পরিণত পুরুষত্বের লক্ষণ।
বয়স পঞ্চাশের ঘর পেরোলেই অনেক পুরুষের মনে প্রশ্ন জাগে—এই বয়সে প্রতিদিন হস্তমৈথুন করা কি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর? এতে কি “ভাও” পড়ে, শক্তি কমে যায়, নাকি এটি একেবারেই স্বাভাবিক অভ্যাস? চিকিৎসক ও যৌনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষয়টি নিয়ে সমাজে বহু ভুল ধারণা আছে, কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
কলকাতার এক নামি ইউরোলজিস্ট বলেন, “বয়স যতই হোক, হস্তমৈথুন কোনও রোগ নয় বা শরীরের ক্ষয়ের কারণ নয়। এটি একটি প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। প্রতিদিন একবার হস্তমৈথুন করলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না, বরং মানসিক প্রশান্তি ও প্রস্টেট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।” তাঁর মতে, শরীর থেকে বীর্যপাতের সময় যে তরল বের হয়, তাতে কিছু প্রোটিন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি থাকে, কিন্তু এই পরিমাণ এতই কম যে তা শরীরে কোনও ঘাটতি তৈরি করে না। নিয়মিত হস্তমৈথুন প্রস্টেটের অভ্যন্তরে জমে থাকা তরলকে পরিশুদ্ধ করে, যা বয়সজনিত প্রস্টেট ইনফ্লামেশন বা ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
মনোবিজ্ঞানী ও সেক্স থেরাপিস্ট বলেন, “অনেক পুরুষ ভাবেন, হস্তমৈথুন করলে শরীরে দুর্বলতা আসে, যৌনশক্তি নষ্ট হয়, বা মনোযোগ কমে যায়। এগুলো কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। বরং এটি মনের চাপ কমায়, ঘুম ভালো করে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুভূতি বাড়ায়।” তাঁর মতে, ৫০ বছর পর পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কিছুটা কমে যায়, ফলে যৌন ইচ্ছা বা স্ট্যামিনা তরুণ বয়সের মতো থাকে না। কিন্তু নিয়মিত হস্তমৈথুন করলে রক্তসঞ্চালন সচল থাকে, স্নায়ু সক্রিয় থাকে এবং যৌন অঙ্গের কার্যক্ষমতা দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
চিকিৎসকরা একমত যে, প্রতিদিন হস্তমৈথুন করা শরীরের ক্ষতি করে না, যতক্ষণ এটি অতিরিক্ত হয়ে না যায় বা মানসিক নির্ভরতার রূপ না নেয়। যদি কেউ প্রতিদিনের হস্তমৈথুনের পর ক্লান্তি, অবসাদ, বা দৈনন্দিন কাজে অনীহা অনুভব করেন, তবে সেটি শরীরের নয়, মনের সমস্যা। অতিরিক্ত নির্ভরতা অনেক সময় compulsive behavior বা মানসিক অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। কিন্তু একজন সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ মানসিকতার মানুষ যদি প্রতিদিন একবার যৌন উত্তেজনা মেটান, তাতে শরীর বা মনের কোনও স্থায়ী ক্ষতি হয় না।
আর এক চিকিৎসক, যিনি পুরুষ যৌনস্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন, বলেন, “৫০ বছরের পর যৌনজীবন শেষ হয়ে যায়—এই ধারণা একেবারে ভুল। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে যৌনজীবন অনেক বছর সক্রিয় থাকে। হস্তমৈথুন এরই অংশ হতে পারে। এতে শরীরের রক্তসঞ্চালন ঠিক থাকে, প্রস্টেট গ্রন্থি পরিষ্কার থাকে এবং মানসিক চাপ হ্রাস পায়। এটি কোনওভাবেই ক্ষতিকর নয়।”
মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও হস্তমৈথুন একটি সেফ আউটলেট। এটি যৌন ফ্যান্টাসিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অনিচ্ছাকৃত যৌন আচরণ বা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পর্ক থেকে বিরত রাখে। বহু আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বীর্যপাত প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকেরা এখন এটিকে এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ হিসেবে দেখেন।
তবে শরীরের বিশ্রাম ও পুষ্টির দিকে নজর রাখা জরুরি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়, তাই পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার, ফল, সবজি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং নিয়মিত হাঁটা বা যোগব্যায়াম যৌনস্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এই অভ্যাসের সঙ্গে হস্তমৈথুনের কোনও বিরোধ নেই; বরং এরা পরস্পরকে পরিপূরক করে।
সবশেষে বিশেষজ্ঞদের একবাক্যে মত, একজন ৫৪ বছর বয়সী পুরুষ প্রতিদিন একবার হস্তমৈথুন করলে শরীরে কোনও প্রভাব পড়ে না বা যৌনক্ষমতা নষ্ট হয় না। এটি শরীরের জন্য যেমন নিরীহ, তেমনি মানসিকভাবে উপকারীও হতে পারে। মূল কথা হচ্ছে ভারসাম্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণ—যতক্ষণ এটি সুস্থ জীবনযাপনের অংশ হিসেবে থাকে, ততক্ষণ এটি নিয়ে অপরাধবোধ বা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং এই বয়সেও যৌন চাহিদাকে লজ্জার বিষয় না ভেবে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করাই পরিণত পুরুষত্বের লক্ষণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন