১৮টিরও বেশি রাজ্য থেকে আগত ৬০০-র বেশি প্রতিযোগী কিহন, কাতা ও কুমিতে তিনটি ইভেন্টে অংশ নেন।
| বিজয়ী তিন প্রতিযোগী। |
এই দুর্দান্ত ফাইনাল রাউন্ডের আগে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার প্রতিযোগিতার পর্দা ওঠে। বিকেল ৪:৩০-এ উদ্বোধন করেন জাপানের ডেপুটি কনসাল জেনারেল কাটসুনোরি আশিদা। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন ভারতের কিয়োকুশিন কারাটের কিংবদন্তি হানশি শিবাজি গাঙ্গুলি। শিবাজি গাঙ্গুলির অ্যাকাডেমি ‘মাইন্ড অ্যান্ড বডি’-র আয়োজিত এই মরসুমের চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন দেশজুড়ে ১৮টিরও বেশি রাজ্য থেকে আগত ৬০০-র বেশি প্রতিযোগী।
উদ্বোধনী মঞ্চে প্রকাশিত হয় অভীক ভট্টাচার্যর বই “The Living Legend of Indian Karate – The Life of Hanshi Shivaji Ganguly”। কলকাতা যুবকের সোসাই মাস ওয়াইয়ামার দোজো পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া অনমনীয় পথচলার গল্প উঠে এসেছে এই বইয়ে। লেখক—যিনি নিজেও শটোকান ব্ল্যাক বেল্ট এবং কিয়োকুশিন অনুশীলক—বলেছেন, “কারাটে শুধু যুদ্ধ নয়, এটি মানবিক বিকাশের পথ।”
শিশু, সাব-জুনিয়র, জুনিয়র ও অ্যাডাল্ট—প্রতিটি বয়স বিভাগের প্রতিযোগীরা কিহন, কাতা ও কুমিতে তিনটি ইভেন্টে অংশ নেন। দুই দিনের লড়াইয়ে গুজরাত, অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, ওড়িশা, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু, রাজস্থান-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিযোগীরা নিজেদের সেরাটা তুলে ধরেন। প্রতিযোগিতাটি স্বীকৃতি দিয়েছে BBKA, AIKFO, কিয়োকুশিনকাই ইন্ডিয়া এবং ওয়ার্ল্ড কারাটে কাউন্সিল এম-কিয়োকুশিন।
দুই দিনের উত্তাপ, দক্ষতা আর প্রতিভার সংঘর্ষের শেষে ৩০ ডিসেম্বরের ফাইনালে যে তিনজন মঞ্চ কাঁপিয়ে দিলেন—তাঁদের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে এই বছরের চ্যাম্পিয়নশিপকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন