প্রেমিককে নির্মমভাবে খুন! শেষ যাত্রায় মৃতদেহকেই বিয়ে করলেন তরুণী—কান্নায় ভেঙে পড়েছে মহারাষ্ট্র

মহারাষ্ট্রে প্রেমিককে পরিবারের হাতে হারানোর পর শবদেহকেই বিয়ে করলেন তরুণী আঁচল! জাতপাতের কারণেই নৃশংস খুন—কান্নায় ভাসছে নান্দেড়।

প্রেমিককে নির্মমভাবে খুন! শেষ যাত্রাপথে মৃতদেহকেই বিয়ে করলেন তরুণী—কান্নায় ভেঙে পড়েছে মহারাষ্ট্র
প্রতীকী এআই ফটো।
নান্দেড় : মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ে ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা বিশ্বাস করাও কঠিন। নিজের প্রেমিককে পরিবারের হাতে হারিয়ে ফেললেন আঁচল। তিন বছরের সম্পর্ক—জাতপাতের দেওয়ালে আটকে মর্মান্তিক পরিণতি। বাড়ির চাপ, হুমকি—কিছুতেই থামাতে পারেনি তাঁদের ভালোবাসাকে। কিন্তু আঁচলের পরিবার শেষ পর্যন্ত এমন নিষ্ঠুর পথ বেছে নিল যে শিউরে উঠছে দেশ।

মাত্র ২০ বছরের সক্ষাম টাটেকে প্রথমে পিটিয়ে অচেতন করা হয়, তারপর মাথায় গুলি, শেষে বড় পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মাথা। প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে হবে জানতে পেরেই নাকি তারাই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায়—এমনটাই অভিযোগ।

শবদাহের সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছান আঁচল। চোখে অশ্রু, হাতে সিঁদুর। মৃত প্রেমিকের শরীরে হলুদ মাখিয়ে, নিজের কপালে সিঁদুর পরিয়ে—সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে মৃতদেহকেই বিয়ে করেন তিনি। ঘোষণা করেন—এ বাড়িই হবে তাঁর শ্বশুরবাড়ি, এখানেই তিনি থাকবেন সক্ষামের স্ত্রী হয়ে। আঁচলের কথায়, “মৃত্যুর পরও আমাদের ভালোবাসা বেঁচে আছে। আমার বাবা-ভাইরা হেরেছে।”

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ, গ্রেপ্তারও করা হয়েছে অভিযুক্তদের। আঁচলের দাবি—খুনিদের জন্য চাই মৃত্যুদণ্ড।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন