ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কায় ২০০-র বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই দিতওয়া এখন অবস্থান করছে নাগাপট্টিনমের ভেদারনিয়ম উপকূলের কাছে।
চেন্নাই : দক্ষিণ ভারতের উপকূলে বাড়ছে উত্তেজনা। ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়া’ এখন তামিলনাড়ু–পুদুচেরি উপকূলের সমান্তরালে দৌড়াচ্ছে ঘণ্টায় ১২ কিমি বেগে। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তাল সমুদ্র, ভেঙে পড়া ঘর, নিহত ৩—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চেন্নাই, কুড্ডালোর, নাগাপট্টিনম, পুদুচেরি, কারাইকাল-সহ একাধিক বন্দরে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হয়েছে। কোথাও আবার চার নম্বরে নামানো হয়েছে সতর্কতা।
একদিকে তামিলনাড়ুর উপকূলজুড়ে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টি, অন্যদিকে পুদুচেরিতে উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা। মারিনা বিচে পুলিশ খালি করছে সমুদ্রতট। রামনাথপুরম এবং নাগাপট্টিনমে জলমগ্ন গ্রাম, আতঙ্কিত বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ১৪৯টি গবাদি পশুর মৃত্যু, ভেঙে গেছে ২০০-র বেশি কুঁড়েঘর। বহু জায়গায় সমুদ্রের তাণ্ডবে নষ্ট হয়েছে নৌকা, ভেঙেছে রাস্তা।
ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কায় ২০০-র বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই দিতওয়া এখন অবস্থান করছে নাগাপট্টিনমের ভেদারনিয়ম উপকূলের কাছে, চেন্নাই থেকে মাত্র ২৫০ কিমি দূরে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরমুখী হয়ে উপকূলের আরও কাছাকাছি আসবে—মাত্র ২৫ কিমি দূরত্বে। ফলে সমুদ্র আরও উত্তাল হবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
চেন্নাই বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই ৫৪টি উড়ান বাতিল। রেল পরিষেবা ব্যাহত, বহু ট্রেনের সময় বদল। পাম্বান ব্রিজে বাতাসের গতি কমলেও সতর্কতার খামতি নেই। হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে তৎপর এনডিআরএফ—মাঠে নেমেছে ১৪টি দল, আরও ১০টি দল এয়ারলিফট করে পাঠানো হচ্ছে। ৬,০০০-র বেশি রিলিফ ক্যাম্প তৈরি রেখেছে প্রশাসন।
চেম্বারামবাক্কম ও পুণ্ডি জলাধার থেকে বাড়তি জল ছাড়া হচ্ছে যাতে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ধনুষ্কোডি সফর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দিতওয়া লেগুনের নামানুসারে নাম পাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় যে কদিন থাকবে, দক্ষিণ ভারতের উপকূল তার নিশ্বাস বন্ধ করে তাকিয়ে থাকবে।
আপনি যদি দক্ষিণ ভারতে থাকেন বা আপনার পরিচিত কেউ থাকে—সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন, এবং আবহাওয়ার আপডেট হাতছাড়া করবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন