ইন্ডিগোর রাতের ফ্লাইটে নয়া নিয়মে ছাড়, ক্রু–সংকটে টানা ব্যাঘাত, ৮ ডিসেম্বর থেকে উড়ান কমাবে সংস্থা

নতুন FDTL বিধি মানতে গিয়ে ক্রু পরিকল্পনায় বড় ভুল স্বীকার করল IndiGo। রাতের ফ্লাইটে কিছু নিয়ম শিথিল, তবুও ২–৩ দিন চলবে ব্যাপক উড়ান বাতিল। ৮ ডিসেম্বর থেকে কমানো হবে ফ্লাইট। নজরদারিতে DGCA ও মন্ত্রক।

নতুন FDTL বিধি মানতে গিয়ে ক্রু পরিকল্পনায় বড় ভুল স্বীকার করল IndiGo। রাতের ফ্লাইটে কিছু নিয়ম শিথিল, তবুও ২–৩ দিন চলবে ব্যাপক উড়ান বাতিল। ৮ ডিসেম্বর থেকে কমানো হবে ফ্লাইট। নজরদারিতে DGCA ও মন্ত্রক।

নয়াদিল্লি : ইন্ডিগোর টানা ব্যাঘাতে স্তব্ধ দেশের আকাশপথ। রাতের ফ্লাইটের জন্য নতুন বিশ্রাম ও দায়িত্ব–বিধি (FDTL) মানতে গিয়ে পরিকল্পনায় বড়সড় ভুল হয়েছে—সরকারি বৈঠকে স্বীকার করল দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা। সেই সঙ্গে জানাল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত রাতের ডিউটি–সংশ্লিষ্ট কিছু বিধিতে ছাড় চেয়ে আবেদন করেছে তারা।

রাতের ডিউটির সংজ্ঞা ফের আগের নিয়মে ফিরিয়ে আনা হয়েছে—আগে যেখানে মধ্যরাত থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ধরা হত, অস্থায়ীভাবে সেটি ফের আগের মতো মধ্যরাত থেকে সকাল ৬টা করা হচ্ছে না। একই ভাবে দু’টি নাইট ল্যান্ডিং–সীমাবদ্ধতাও আপাতত স্থগিত। তবুও সংস্থা জানিয়েছে, আগামী দু’তিন দিন উড়ান বাতিল চলবে কারণ সময়সূচি স্থিতিশীল করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে। ৮ ডিসেম্বর থেকে ফ্লাইট কমিয়ে অপারেশন স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেবে ইন্ডিগো।

গত কয়েক দিনে দেশজুড়ে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল ও লক্ষাধিক যাত্রী আটকে পড়ায় চাপ বাড়ে সংস্থার উপরে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাম মোহন নাইডুর তলবে মন্ত্রক, DGCA, AAI ও ইন্ডিগোর শীর্ষ কর্তাদের বিশেষ বৈঠকে জানানো হয়—পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।

ইন্ডিগো জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর FDTL–এর দ্বিতীয় ধাপের নিয়ম মানতে গিয়ে প্রকৃত প্রয়োজনের তুলনায় কম পাইলট ভেবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিশেষত রাতের স্লটে ডিউটি–সীমাবদ্ধতা কঠোর হওয়ায় অতিরিক্ত পাইলট দরকার, যা আগে আন্দাজ করতে পারেনি সংস্থা। এর ফলে ক্রু–স্বল্পতায় রোস্টার ভেঙে পড়েছে।

DGCA জানিয়েছে, প্রতিদিন ১৭০–২০০ ফ্লাইট বাতিল করছে ইন্ডিগো—স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেশি। তাই সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্রু নিয়োগ ও বিমান সংযোজনের স্পষ্ট রোডম্যাপ জমা দিতে, অপারেশন স্থিতিশীল করার নতুন পরিকল্পনা জমা দিতে, প্রতি পনেরো দিনে অগ্রগতি জানাতে এবং ছাড় চাওয়া সমস্ত FDTL নথি উপস্থাপন করতে। নেটওয়ার্ক–পারফরম্যান্স ও যাত্রী পরিষেবা রিয়েল–টাইমে পর্যবেক্ষণ করবে DGCA।

এদিকে, দিল্লির টার্মিনাল ১–এ হঠাৎ ভিড় সামলাতে না পেরে যাত্রী–পরিষেবায় মারাত্মক ঘাটতি ধরা পড়ে। পরিদর্শনে গিয়ে DGCA–র দল দেখে—স্টাফ সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম, সাহায্য পেতে দেরি হচ্ছে, ফলে যাত্রী ক্ষোভ বাড়ছে। দ্রুত কর্মী বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইন্ডিগোকে।

যাত্রী সহায়তার জন্য সমস্ত বিমানবন্দরকে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে বিমানভাড়াও যেন অস্বাভাবিকভাবে না বাড়ে, সে দিকে নজর রাখতে DGCA–কে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন