বহরমপুরে সভা থেকে দাঙ্গা উসকানির অভিযোগ তুললেন মমতা। একই সময়ে সাসপেন্ড হলেন MLA হুমায়ুন কবীর। তিনি জানালেন, বিধায়কপদ ছাড়বেন ও ২২ ডিসেম্বর নতুন দল ঘোষণা করবেন।
বহরমপুর : বহরমপুরে দলীয় সভায় উপস্থিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হলেন ভরতপুরের MLA হুমায়ুন কবীর। আর সেই সভার মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন—মুর্শিদাবাদে নতুন করে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, নির্বাচনের আগে বিজেপির স্বার্থে দলের মধ্যে থেকেই কিছু লোক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদেরও কেউ কেউ টাকা খেয়ে বিজেপির তাবেদারি করে। এরা দেশের শত্রু। নির্বাচনের দু’মাস আগে যারা বিজেপির পাল্লায় পড়ে এসব করে তারাও দেশের শত্রু।’’
মমতা আরও বলেন, ‘‘কিছু পোকা-মাকড় থাকবেই। তাদের সরিয়ে রেখে নিজেদের কাজ করুন। মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হতে দেবেন না। আমি আপনাদের পাহারাদার। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না।’’ নাম না করে হুমায়ুনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘অনেকে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে বিজেপির সুবিধা করতে চায়। এই নির্দল, ফির্দলদের একটি ভোটও দেবেন না।’’
এর ঠিক পরেই কলকাতায় ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে হুমায়ুনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তখনই বহরমপুরের সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সাসপেনশনের খবর পেয়ে হুমায়ুন জানান, আগামীকালই তিনি বিধায়কপদ ছাড়বেন এবং ২২ ডিসেম্বর নতুন দল ঘোষণা করবেন। তাঁর দাবি, ‘‘১৩৫টি আসনে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমাকে ডেকে অপমান করা হয়েছে, তৃণমূলকে এর ফল ভোগ করতে হবে।’’
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই এই রাজনৈতিক ঝড়। ৬ ডিসেম্বর সেই অনুষ্ঠান করার কথা ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন। তাঁর অভিযোগ, জমি বরাদ্দে প্রশাসন ইচ্ছাকৃত ভাবে বাধা দিচ্ছে। এসডিপিও উত্তম গড়াই-সহ জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে ‘আরএসএসের দালাল’ বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘৬ তারিখে রেজিনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক থাকবে মুসলিমদের দখলে। আমার মাথা কাটুক, জেলে পুরুক—আমি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবই।’’
এই উত্তাপে ফের তীব্র হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক অস্থিরতা।
বহরমপুর : বহরমপুরে দলীয় সভায় উপস্থিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হলেন ভরতপুরের MLA হুমায়ুন কবীর। আর সেই সভার মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন—মুর্শিদাবাদে নতুন করে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, নির্বাচনের আগে বিজেপির স্বার্থে দলের মধ্যে থেকেই কিছু লোক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদেরও কেউ কেউ টাকা খেয়ে বিজেপির তাবেদারি করে। এরা দেশের শত্রু। নির্বাচনের দু’মাস আগে যারা বিজেপির পাল্লায় পড়ে এসব করে তারাও দেশের শত্রু।’’
মমতা আরও বলেন, ‘‘কিছু পোকা-মাকড় থাকবেই। তাদের সরিয়ে রেখে নিজেদের কাজ করুন। মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হতে দেবেন না। আমি আপনাদের পাহারাদার। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না।’’ নাম না করে হুমায়ুনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘অনেকে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে বিজেপির সুবিধা করতে চায়। এই নির্দল, ফির্দলদের একটি ভোটও দেবেন না।’’
এর ঠিক পরেই কলকাতায় ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে হুমায়ুনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তখনই বহরমপুরের সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সাসপেনশনের খবর পেয়ে হুমায়ুন জানান, আগামীকালই তিনি বিধায়কপদ ছাড়বেন এবং ২২ ডিসেম্বর নতুন দল ঘোষণা করবেন। তাঁর দাবি, ‘‘১৩৫টি আসনে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমাকে ডেকে অপমান করা হয়েছে, তৃণমূলকে এর ফল ভোগ করতে হবে।’’
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই এই রাজনৈতিক ঝড়। ৬ ডিসেম্বর সেই অনুষ্ঠান করার কথা ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন। তাঁর অভিযোগ, জমি বরাদ্দে প্রশাসন ইচ্ছাকৃত ভাবে বাধা দিচ্ছে। এসডিপিও উত্তম গড়াই-সহ জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে ‘আরএসএসের দালাল’ বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘৬ তারিখে রেজিনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক থাকবে মুসলিমদের দখলে। আমার মাথা কাটুক, জেলে পুরুক—আমি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবই।’’
এই উত্তাপে ফের তীব্র হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক অস্থিরতা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন