ইন্ডিগোর অভূতপূর্ব বিপর্যয়ে দেশজুড়ে বাতিল হাজারো উড়ান; কেন্দ্রের কড়া নির্দেশ—সম্পূর্ণ রিফান্ড, রিসিডিউল ফি নয়, বিশেষ সহায়তা সেল গঠনের নির্দেশ।
নয়াদিল্লি : টানা পাঁচ দিনের ভয়াবহ অপারেশনাল বিপর্যয়ে দেশের সামগ্রিক বিমান পরিষেবায় অচলাবস্থা তৈরি করেছে ইন্ডিগো। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বিশৃঙ্খলা শুক্রবার চরমে পৌঁছয়, একদিনে বাতিল হয় এক হাজারেরও বেশি উড়ান—সংস্থার ইতিহাসে এটাই সর্বাধিক। শনিবারও পরিস্থিতি বদলায়নি; দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুণে-সহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী আটকে পড়েছেন বা সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
এ অবস্থায় সংস্থার সিইও পিটার এলবার্স প্রথমবার প্রকাশ্যে এসে স্বীকার করেছেন যে ইন্ডিগোর ‘অপারেশনাল রিবুট’-এর সিদ্ধান্তই এই বিশৃঙ্খলার প্রধান কারণ। তাঁর বক্তব্য, ৫ ডিসেম্বর ছিল সবচেয়ে খারাপ দিন এবং বৃহৎ মাত্রায় ফ্লাইট বাতিলের মাধ্যমে তারা শনিবার থেকে ক্রু ও বিমানের নতুন বিন্যাসে ফিরতে চেয়েছিলেন। এলবার্স দাবি করেন, ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক সংস্থার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয়। ডিজিসিএ জানিয়ে দিয়েছে, নতুন পাইলট ডিউটি–আওয়ার নিয়ম কার্যকর করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনার ঘাটতি ও ভুল সিদ্ধান্তের ফলেই এই বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্র সরকার কড়া নির্দেশ জারি করেছে—৭ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে সব বাতিল উড়ানের টিকিটের পুরো ভাড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যাঁদের যাত্রা বিঘ্নিত হয়েছে তাঁদের রিসিডিউল ফি নেওয়া যাবে না; নির্দেশ না মানলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ইন্ডিগোকে বিশেষ রিফান্ড সেল এবং যাত্রী সহায়তা সেল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাত্রী অসুবিধা কমাতে মন্ত্রকের আরও নির্দেশ—বাতিলের সময়ে যাত্রীদের লাগেজ কোথাও আলাদা হয়ে গেলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি বা নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হবে। প্রবীণ নাগরিক, রোগী, ছাত্র ও বিশেষ সহায়তা প্রয়োজন এমন যাত্রীদের জন্য আলাদা ব্যাবস্থাও রাখতে হবে। এরই মধ্যে একটি জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও ডিজিসিএ-র কাছ থেকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছে।
পরপর পাঁচ দিনের এমন বিপর্যয়ে ইন্ডিগোর বিশ্বাসযোগ্যতা বড়সড় ধাক্কা খেলেও সংস্থাটি জানিয়েছে যে তারা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। এখন নজর, ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয় এবং ভেঙে পড়া যাত্রী আস্থা ইন্ডিগো কত দ্রুত পুনর্গঠন করতে পারে।
নয়াদিল্লি : টানা পাঁচ দিনের ভয়াবহ অপারেশনাল বিপর্যয়ে দেশের সামগ্রিক বিমান পরিষেবায় অচলাবস্থা তৈরি করেছে ইন্ডিগো। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বিশৃঙ্খলা শুক্রবার চরমে পৌঁছয়, একদিনে বাতিল হয় এক হাজারেরও বেশি উড়ান—সংস্থার ইতিহাসে এটাই সর্বাধিক। শনিবারও পরিস্থিতি বদলায়নি; দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুণে-সহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী আটকে পড়েছেন বা সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
এ অবস্থায় সংস্থার সিইও পিটার এলবার্স প্রথমবার প্রকাশ্যে এসে স্বীকার করেছেন যে ইন্ডিগোর ‘অপারেশনাল রিবুট’-এর সিদ্ধান্তই এই বিশৃঙ্খলার প্রধান কারণ। তাঁর বক্তব্য, ৫ ডিসেম্বর ছিল সবচেয়ে খারাপ দিন এবং বৃহৎ মাত্রায় ফ্লাইট বাতিলের মাধ্যমে তারা শনিবার থেকে ক্রু ও বিমানের নতুন বিন্যাসে ফিরতে চেয়েছিলেন। এলবার্স দাবি করেন, ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক সংস্থার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয়। ডিজিসিএ জানিয়ে দিয়েছে, নতুন পাইলট ডিউটি–আওয়ার নিয়ম কার্যকর করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনার ঘাটতি ও ভুল সিদ্ধান্তের ফলেই এই বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্র সরকার কড়া নির্দেশ জারি করেছে—৭ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে সব বাতিল উড়ানের টিকিটের পুরো ভাড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যাঁদের যাত্রা বিঘ্নিত হয়েছে তাঁদের রিসিডিউল ফি নেওয়া যাবে না; নির্দেশ না মানলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ইন্ডিগোকে বিশেষ রিফান্ড সেল এবং যাত্রী সহায়তা সেল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাত্রী অসুবিধা কমাতে মন্ত্রকের আরও নির্দেশ—বাতিলের সময়ে যাত্রীদের লাগেজ কোথাও আলাদা হয়ে গেলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি বা নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হবে। প্রবীণ নাগরিক, রোগী, ছাত্র ও বিশেষ সহায়তা প্রয়োজন এমন যাত্রীদের জন্য আলাদা ব্যাবস্থাও রাখতে হবে। এরই মধ্যে একটি জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও ডিজিসিএ-র কাছ থেকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছে।
পরপর পাঁচ দিনের এমন বিপর্যয়ে ইন্ডিগোর বিশ্বাসযোগ্যতা বড়সড় ধাক্কা খেলেও সংস্থাটি জানিয়েছে যে তারা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। এখন নজর, ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয় এবং ভেঙে পড়া যাত্রী আস্থা ইন্ডিগো কত দ্রুত পুনর্গঠন করতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন