মুর্শিদাবাদে বাবরি-ধাঁচের মসজিদের শিলান্যাস করলেন সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির; নিরাপত্তা, রাজনৈতিক বিতর্ক ও বিশাল জমায়েতে উত্তপ্ত এলাকা।
বেলডাঙ্গা : মুর্শিদাবাদের রেজিনগর-বেলডাঙায় শনিবার বাবরি মসজিদের আদলে নির্মীয়মাণ একটি মসজিদের শিলান্যাস করলেন সাসপেন্ড তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবির। সকাল থেকেই কয়েক হাজার মানুষের ভিড়ে অনুষ্ঠানমঞ্চে উঠে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলান্যাস করেন তিনি। স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। “নারা-এ-তাকবির, আল্লাহু আকবর”-এর মধ্যেই মসজিদ নির্মাণের সূচনা ঘোষণা করেন কবির।
পুরো অঞ্চল জুড়ে ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। জেলা পুলিশ, র্যাফ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশাল মোতায়েন ছিল রেজিনগর থেকে বেলডাঙা পর্যন্ত। শিলান্যাস ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় প্রশাসন আগে থেকেই কড়া প্রস্তুতি নেয়। তা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে বিপুল ভিড় হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবকেরা সকাল থেকেই জমায়েত হতে থাকেন। কবির দাবি, প্রায় ২৫ বিঘা জুড়ে ৩ লক্ষ মানুষ পর্যন্ত জড়ো হতে পারেন।
অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের কবির জানান, “হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে আজ শিলান্যাস হবে। কোনও শক্তিই এটি আটকাতে পারবে না।” তাঁর অভিযোগ, অনুষ্ঠান বানচাল করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু ‘দক্ষিণবঙ্গের লাখো মানুষ সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করবে’। তিনি আরও দাবি করেন, সংবিধান যে উপাসনার অধিকার দিয়েছে, তার ভিত্তিতেই এই মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অতিথিশালা তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান কবির। অভিযোগ করেন, “ধর্ম নিয়ে মেরুকরণ করছে তৃণমূল, ঠিক বিজেপির মতোই। সবটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”
বিশাল জমায়েত সামলাতে ছিল ৩,০০০-র বেশি স্বেচ্ছাসেবক। খাদ্যের ব্যবস্থাতেও ছিল আড়ম্বর। শাহী বিরিয়ানির জন্য সাতটি ক্যাটারিং সংস্থা কাজ করেছে। প্রায় ৪০,০০০ দর্শনার্থীর জন্য খাবার, আরও ২০,০০০ প্যাকেট স্থানীয়দের জন্য। শুধু খাবারেই ব্যয় ছাড়িয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠানের মোট খরচ ৬০–৭০ লক্ষ টাকা ছাড়াতে পারে বলে আয়োজকদের অনুমান। ১৫০ ফুট লম্বা ও ৮০ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরিতেই খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
কবির জানান, সকাল ১০টায় কোরান তিলাওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং দুপুর ১২টায় শিলান্যাস সম্পন্ন হয়। বিকেল ৪টার মধ্যে পুলিশ নির্দেশমাফিক ময়দান খালি করা হবে। নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা স্বীকার করলেও কবির দাবি, “এটি এলাকার ইতিহাসে এক বিশেষ মুহূর্ত। মানুষ আসবেই।”
বেলডাঙ্গা : মুর্শিদাবাদের রেজিনগর-বেলডাঙায় শনিবার বাবরি মসজিদের আদলে নির্মীয়মাণ একটি মসজিদের শিলান্যাস করলেন সাসপেন্ড তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবির। সকাল থেকেই কয়েক হাজার মানুষের ভিড়ে অনুষ্ঠানমঞ্চে উঠে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলান্যাস করেন তিনি। স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। “নারা-এ-তাকবির, আল্লাহু আকবর”-এর মধ্যেই মসজিদ নির্মাণের সূচনা ঘোষণা করেন কবির।
পুরো অঞ্চল জুড়ে ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। জেলা পুলিশ, র্যাফ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশাল মোতায়েন ছিল রেজিনগর থেকে বেলডাঙা পর্যন্ত। শিলান্যাস ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় প্রশাসন আগে থেকেই কড়া প্রস্তুতি নেয়। তা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে বিপুল ভিড় হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবকেরা সকাল থেকেই জমায়েত হতে থাকেন। কবির দাবি, প্রায় ২৫ বিঘা জুড়ে ৩ লক্ষ মানুষ পর্যন্ত জড়ো হতে পারেন।
অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের কবির জানান, “হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে আজ শিলান্যাস হবে। কোনও শক্তিই এটি আটকাতে পারবে না।” তাঁর অভিযোগ, অনুষ্ঠান বানচাল করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু ‘দক্ষিণবঙ্গের লাখো মানুষ সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করবে’। তিনি আরও দাবি করেন, সংবিধান যে উপাসনার অধিকার দিয়েছে, তার ভিত্তিতেই এই মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অতিথিশালা তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান কবির। অভিযোগ করেন, “ধর্ম নিয়ে মেরুকরণ করছে তৃণমূল, ঠিক বিজেপির মতোই। সবটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”
বিশাল জমায়েত সামলাতে ছিল ৩,০০০-র বেশি স্বেচ্ছাসেবক। খাদ্যের ব্যবস্থাতেও ছিল আড়ম্বর। শাহী বিরিয়ানির জন্য সাতটি ক্যাটারিং সংস্থা কাজ করেছে। প্রায় ৪০,০০০ দর্শনার্থীর জন্য খাবার, আরও ২০,০০০ প্যাকেট স্থানীয়দের জন্য। শুধু খাবারেই ব্যয় ছাড়িয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠানের মোট খরচ ৬০–৭০ লক্ষ টাকা ছাড়াতে পারে বলে আয়োজকদের অনুমান। ১৫০ ফুট লম্বা ও ৮০ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরিতেই খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
কবির জানান, সকাল ১০টায় কোরান তিলাওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং দুপুর ১২টায় শিলান্যাস সম্পন্ন হয়। বিকেল ৪টার মধ্যে পুলিশ নির্দেশমাফিক ময়দান খালি করা হবে। নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা স্বীকার করলেও কবির দাবি, “এটি এলাকার ইতিহাসে এক বিশেষ মুহূর্ত। মানুষ আসবেই।”
এদিকে প্রশাসনের প্রধান উদ্বেগ ছিল ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা। প্রয়োজনে বিকল্প রুট প্রস্তুত করা হয়েছে। তবুও কবিরের বিশ্বাস, রাজনৈতিক চাপ বা নিরাপত্তা-ব্যবস্থা কোনওটাই মানুষের উচ্ছ্বাসকে ঠেকাতে পারবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন