হরিয়ানার পানিপথে গ্রেপ্তার এক মধ্যবয়স্ক মহিলা। সৌন্দর্যের ঈর্ষা থেকে চার শিশুকে ডুবিয়ে খুনের স্বীকারোক্তি—মৃতদের মধ্যে রয়েছে নিজের ছেলেও।
![]() |
| পুলিশ হেফাজতে ধৃত অভিযুক্ত। |
সম্প্রতি নৌল্থা গ্রামের ছয় বছরের একটি মেয়ের মৃত্যুকে প্রথমে দুর্ঘটনা ভাবা হলেও পরে একের পর এক অসঙ্গতি সামনে আসতে তদন্তে নামে পুলিশ। শ্যালোর জলে ডুবে মৃত্যু, মাত্র একফুট গভীর টব, মৃত শিশুদের উচ্চতা—সব মিলিয়ে প্রশ্ন ওঠে মৃত্যুগুলো আদৌ দুর্ঘটনা কি না। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রতিটি ঘটনাতেই একই ছক—ফাঁকা জায়গা, অগভীর জলে ডুবিয়ে মৃত্যু, তারপর ঘটনাকে ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ বলে দেখানোর চেষ্টা।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে অভিযুক্তর হিংসাত্মক মনস্তত্ত্ব। সুন্দর শিশুদের দেখে ‘ইর্ষায় জ্বলে উঠত’ সে—এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এক শীর্ষ আধিকারিকের ভাষায়, “ক্রূর এই মহিলা নিজের চেয়ে সুন্দর মনে হওয়া মেয়েদের সরিয়ে দিতে চাইত। শিশুরা মারা যাওয়ার পর সে নাকি উল্টে শোকও করত।”
মাত্র ৩৬ ঘণ্টায় নৌল্থা কাণ্ডের তদন্ত শেষ করে চারটি খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত চারটি খুনের কথাই স্বীকার করেছে। সৌন্দর্য-ঈর্ষায় জন্ম নেওয়া এই ভয়াবহ ‘সিরিয়াল কিলার’ কাণ্ডে শিহরিত হরিয়ানা—শিশুদের মৃত্যু যে এমন সুপরিকল্পিত খুন ছিল, তা ভাবতেই কেঁপে উঠছেন সাধারণ মানুষ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন