চপের দোকানের আড়ালে মধুচক্র, হাতেনাতে ধৃত যুগল; বেতাই বাজারে তীব্র উত্তেজনা

বেতাই বাজারে চপের দোকানকে ঘণ্টাচুক্তিতে ভাড়া দিয়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগ। স্থানীয়দের হানায় ধৃত তরুণ–তরুণী, পুলিশের তদন্ত শুরু।

চপের দোকানের আড়ালে মধুচক্র, হাতেনাতে ধৃত যুগল; বেতাই বাজারে তীব্র উত্তেজনা

কলকাতা : চপের দোকানের আড়ালে চলছিল মধুচক্র। আর পাঁচটা খাবারের দোকানের মতোই সাজানো-গোছানো হলেও ভিতরে ছিল মনোরঞ্জনের বিশেষ কেবিন। বৃহস্পতিবার সকালেই সেই গোপন কারবার প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ উঠতেই বেতাই বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা হানা দেন দোকানে এবং হাতেনাতে এক তরুণ-তরুণীকে ধরে ফেলেন। বাজারজুড়ে মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই দোকানটিকে ঘণ্টাচুক্তিতে ভাড়া দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানো হচ্ছিল। বহুবার সতর্ক করা হলেও দোকান মালিক কোনও পরোয়া করেননি। তাই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ এক যুগলকে দোকানের ভিতরে ঢুকতে দেখে পরিস্থিতি হাতের মুঠোয় আসে। এরপরই ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়রা একযোগে দোকানে ঢুকে অসামাজিক কর্মের প্রমাণসহ যুগলকে ধরে ফেলেন।

অভিযোগ উঠেছে, বেতাই বাসস্ট্যান্ডের মতো ব্যস্ত জায়গায়, অফিস সময়েই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলছে। দোকানের ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাশাপাশি মন্দির ও বিশ্রামাগার—যেখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। এমন জায়গায় চপের দোকানের আড়ালে এই ধরনের কর্মকাণ্ড চলায় ক্ষোভে ফুটছেন এলাকার মানুষ।

স্থানীয় স্বপন ঘোষ, শুভঙ্কর ঘোষ, পিন্টু ঘোষ এবং অরিত্র মন্ডল বলেন, “চপ বিক্রির আড়ালে ঘণ্টা চুক্তিতে দোকানি অসামাজিক কাজ চালায়—এটা ভাবতেই লজ্জা লাগে। প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক।”

বেতাই বাজার কমিটির সম্পাদক পার্থ বিশ্বাস জানান, “এর আগে দোকানি সতর্ক করা হয়েছিল। তবু সে শুনতে চায়নি। এবার আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাব।”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দোকান থেকে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সবদিক খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন