সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এই বিধায়ক। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁকে শোকজও করেছিল।
কলকাতা : মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে ফের চাঞ্চল্য। এবার তৃণমূলকে সরাসরি ‘টাটা’ জানিয়ে নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার প্রকাশ্য সভা থেকে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে সব কিছুই সম্ভব। আমি কোনও পুরনো দলে বা কংগ্রেসে ফিরব না। নতুন দল গঠন করব।” তাঁর ঘোষণা, আগামী ২২ ডিসেম্বর বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে বড় সভা করে তিনি নিজের নতুন দল ঘোষণা করবেন। হুমায়ুন কবীরের কথায়, “আমি দলের চেয়ারম্যান। আমার সঙ্গে কে থাকবে, সেই লাইন ২২ তারিখে তৈরি হবে। বহরমপুরে ৫০ হাজার মানুষ নিয়ে দেখাব, তখনই আমার ‘বডি’ (দল) ঘোষণা করব।”
সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এই বিধায়ক। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁকে শোকজও করেছিল। এবার ফের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধেই সরাসরি অবস্থান নিলেন তিনি। সংখ্যার রাজনীতিও টেনে আনেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে, তখন কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল, পেয়েছিল ১৮২। পরে একা লড়ে ২১১, তারপর ২১৩। কিন্তু এখন? হলদিয়ায় তাপসী মণ্ডলকে নিয়ে ICDS-এর চেয়ারম্যান বানাতে হয়েছে। মুর্শিদাবাদে ২০ বিধায়ক পেয়েছে, কিন্তু তাদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। এই সংখ্যাই শিগগির নেমে যাবে—দেখে নেবেন।”
বিধায়কের এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “হুমায়ুন কবীর প্রতি ভোটের আগেই এই নাটক করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি আসলে দর কষাকষি করছেন, নিজের দাম বাড়াচ্ছেন। দল ছাড়ছেন কি না, সেটা কখনওই স্পষ্ট বলেন না। তাই এটাকে স্বাভাবিক ঘটনাই ধরে নিন।”
তৃণমূল সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, দলীয় নেতৃত্ব এ ধরনের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে—মুর্শিদাবাদের এই পুরনো কংগ্রেসি নেতা সত্যিই কি নতুন রাজনৈতিক দল গড়বেন, নাকি এটা কেবল চাপ সৃষ্টি করার কৌশল? তাৎপর্যপূর্ণ হলো, আগামী বছরেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে হুমায়ুন কবীরের এই অবস্থান তৃণমূলের অন্দরে নতুন অস্বস্তি তৈরি করেছে। মুর্শিদাবাদের মতো সংবেদনশীল জেলায় এই ধরনের বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপের প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের বড় ছবিতেও।
![]() |
| তৃণমূল বিধায়ক হুয়ায়ুন কবীর। ফাইল ছবি। |
কলকাতা : মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে ফের চাঞ্চল্য। এবার তৃণমূলকে সরাসরি ‘টাটা’ জানিয়ে নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার প্রকাশ্য সভা থেকে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে সব কিছুই সম্ভব। আমি কোনও পুরনো দলে বা কংগ্রেসে ফিরব না। নতুন দল গঠন করব।” তাঁর ঘোষণা, আগামী ২২ ডিসেম্বর বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে বড় সভা করে তিনি নিজের নতুন দল ঘোষণা করবেন। হুমায়ুন কবীরের কথায়, “আমি দলের চেয়ারম্যান। আমার সঙ্গে কে থাকবে, সেই লাইন ২২ তারিখে তৈরি হবে। বহরমপুরে ৫০ হাজার মানুষ নিয়ে দেখাব, তখনই আমার ‘বডি’ (দল) ঘোষণা করব।”
সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এই বিধায়ক। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁকে শোকজও করেছিল। এবার ফের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধেই সরাসরি অবস্থান নিলেন তিনি। সংখ্যার রাজনীতিও টেনে আনেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে, তখন কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল, পেয়েছিল ১৮২। পরে একা লড়ে ২১১, তারপর ২১৩। কিন্তু এখন? হলদিয়ায় তাপসী মণ্ডলকে নিয়ে ICDS-এর চেয়ারম্যান বানাতে হয়েছে। মুর্শিদাবাদে ২০ বিধায়ক পেয়েছে, কিন্তু তাদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। এই সংখ্যাই শিগগির নেমে যাবে—দেখে নেবেন।”
বিধায়কের এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “হুমায়ুন কবীর প্রতি ভোটের আগেই এই নাটক করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি আসলে দর কষাকষি করছেন, নিজের দাম বাড়াচ্ছেন। দল ছাড়ছেন কি না, সেটা কখনওই স্পষ্ট বলেন না। তাই এটাকে স্বাভাবিক ঘটনাই ধরে নিন।”
তৃণমূল সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, দলীয় নেতৃত্ব এ ধরনের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে—মুর্শিদাবাদের এই পুরনো কংগ্রেসি নেতা সত্যিই কি নতুন রাজনৈতিক দল গড়বেন, নাকি এটা কেবল চাপ সৃষ্টি করার কৌশল? তাৎপর্যপূর্ণ হলো, আগামী বছরেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে হুমায়ুন কবীরের এই অবস্থান তৃণমূলের অন্দরে নতুন অস্বস্তি তৈরি করেছে। মুর্শিদাবাদের মতো সংবেদনশীল জেলায় এই ধরনের বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপের প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের বড় ছবিতেও।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন