চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এই গানটিকেই পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজ্য সংগীত’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার।
কলকাতা : রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে এবার থেকে একটাই প্রার্থনা সংগীত। বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, এখন থেকে প্রতিটি স্কুলে প্রার্থনার সময় বাধ্যতামূলকভাবে গাওয়া হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গানটি প্রতিদিন সকালে স্কুল প্রার্থনার অংশ হিসেবে গাইতে হবে, এবং এটি সমস্ত স্কুলের জন্য বাধ্যতামূলক।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এই গানটিকেই পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজ্য সংগীত’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি লিখেছিলেন, যা পরবর্তীতে বাঙালির আত্মপরিচয়ের অন্যতম প্রতীক হয়ে ওঠে। নবান্নের তরফে প্রকাশিত আগের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, গানটির গাওয়ার সময় প্রায় এক মিনিট, এবং জাতীয় সঙ্গীতের মতোই সমান মর্যাদা দিয়ে গাইতে হবে। সেই অনুযায়ী, এখন থেকে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে সকালবেলার প্রার্থনায় এই গানই বাধ্যতামূলক করা হল।
রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই বাংলার ঐক্য ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশের তাৎপর্য গভীর। কারণ, রাজ্যজুড়ে যখন চলছে এসআইআর বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া, তখন রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। মঙ্গলবারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন—বিজেপি বাংলার দুই কোটি মানুষকে তালিকা থেকে বাদ দিতে চাইছে, তাঁদের ‘বাংলাদেশে পাঠানোর’ ষড়যন্ত্র করছে। তিনি নিজেও প্রতিবাদ স্বরূপ এসআইআর ফর্ম পূরণ করেননি।
এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষা দফতরের নতুন নির্দেশকে অনেকেই বাংলার সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা ও আত্মপরিচয়ের বার্তা হিসেবে দেখছেন। এক শতাব্দীরও বেশি আগে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে লেখা রবীন্দ্রনাথের গান ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ আবারও হয়ে উঠল ঐক্যের আহ্বান—যেন বাংলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের সকাল শুরু হয় এক ছন্দে, এক সুরে, এক আত্মবোধে।
![]() |
| এআই সৃষ্টি প্রতিকী ছবি। |
কলকাতা : রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে এবার থেকে একটাই প্রার্থনা সংগীত। বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, এখন থেকে প্রতিটি স্কুলে প্রার্থনার সময় বাধ্যতামূলকভাবে গাওয়া হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গানটি প্রতিদিন সকালে স্কুল প্রার্থনার অংশ হিসেবে গাইতে হবে, এবং এটি সমস্ত স্কুলের জন্য বাধ্যতামূলক।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এই গানটিকেই পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজ্য সংগীত’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি লিখেছিলেন, যা পরবর্তীতে বাঙালির আত্মপরিচয়ের অন্যতম প্রতীক হয়ে ওঠে। নবান্নের তরফে প্রকাশিত আগের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, গানটির গাওয়ার সময় প্রায় এক মিনিট, এবং জাতীয় সঙ্গীতের মতোই সমান মর্যাদা দিয়ে গাইতে হবে। সেই অনুযায়ী, এখন থেকে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে সকালবেলার প্রার্থনায় এই গানই বাধ্যতামূলক করা হল।
রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই বাংলার ঐক্য ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশের তাৎপর্য গভীর। কারণ, রাজ্যজুড়ে যখন চলছে এসআইআর বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া, তখন রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। মঙ্গলবারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন—বিজেপি বাংলার দুই কোটি মানুষকে তালিকা থেকে বাদ দিতে চাইছে, তাঁদের ‘বাংলাদেশে পাঠানোর’ ষড়যন্ত্র করছে। তিনি নিজেও প্রতিবাদ স্বরূপ এসআইআর ফর্ম পূরণ করেননি।
এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষা দফতরের নতুন নির্দেশকে অনেকেই বাংলার সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা ও আত্মপরিচয়ের বার্তা হিসেবে দেখছেন। এক শতাব্দীরও বেশি আগে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে লেখা রবীন্দ্রনাথের গান ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ আবারও হয়ে উঠল ঐক্যের আহ্বান—যেন বাংলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের সকাল শুরু হয় এক ছন্দে, এক সুরে, এক আত্মবোধে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন