বিশ্বমঞ্চে ভারতের শ্রম-সংস্কারকে তুলে ধরার দিকেই কি নজর দেবে কেন্দ্র?
নয়াদিল্লি : চারটি শ্রম-সংক্রান্ত আইন একত্র করে তৈরি হওয়া নতুন চারটি লেবার কোড কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জি-২০ শীর্ষসম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে যাত্রা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকালে দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে রওনা হন তিনি। সন্ধ্যায় তিনি জোহানেসবার্গ পৌঁছন। কেন্দ্রের মতে, বহু দিনের আলোচনার পর শ্রমবাজারে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা এবং কর্মসংস্থান-পরিবেশে স্থায়িত্ব আনার লক্ষ্যে যে চার লেবার কোড প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা ধাপে ধাপে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত দেশের শিল্পক্ষেত্র ও শ্রমিক স্বার্থ—উভয়ের পক্ষেই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
![]() |
| জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার জোহানেসবার্গে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : এক্স থেকে |
নয়াদিল্লি : চারটি শ্রম-সংক্রান্ত আইন একত্র করে তৈরি হওয়া নতুন চারটি লেবার কোড কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জি-২০ শীর্ষসম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে যাত্রা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকালে দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে রওনা হন তিনি। সন্ধ্যায় তিনি জোহানেসবার্গ পৌঁছন। কেন্দ্রের মতে, বহু দিনের আলোচনার পর শ্রমবাজারে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা এবং কর্মসংস্থান-পরিবেশে স্থায়িত্ব আনার লক্ষ্যে যে চার লেবার কোড প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা ধাপে ধাপে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত দেশের শিল্পক্ষেত্র ও শ্রমিক স্বার্থ—উভয়ের পক্ষেই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
সরকারি সূত্রের দাবি, নতুন শ্রম আইনের বাস্তবায়ন ভারতকে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’-এ আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সংগঠিত-অসংগঠিত—দুই ক্ষেত্রেই কর্মীদের সুরক্ষা, ন্যূনতম মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষার সুযোগ বাড়াবে। পাশাপাশি শ্রম আইনগুলিকে সরলীকরণ করে একাধিক শর্ত ও জটিল প্রক্রিয়া বাদ দেওয়ায় শিল্পমহলেও স্বস্তির হাওয়া বইছে। এই ঘোষণার ঠিক পরপরই প্রধানমন্ত্রীর জি-২০ সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা—বিশ্বমঞ্চে ভারতের শ্রম-সংস্কারকে তুলে ধরার দিকেই কি নজর দেবে কেন্দ্র?
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, 'আজ আমাদের সরকার চারটি শ্রমবিধিকে কার্যকর করেছে। স্বাধীনতার পর এটি সবচেয়ে বিস্তৃত ও অগ্রগামী শ্রমমুখী সংস্কারের মধ্যে অন্যতম। এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের ক্ষমতায়নকে আরও জোরদার করেছে। পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনায় নিয়মকানুন মানার প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করেছে এবং ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’-কে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।'
জি-২০ শীর্ষসম্মেলনে মোদি ভারতীয় অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি-বিনিয়োগ, জলবায়ু লক্ষ্য এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের অগ্রাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখবেন বলেই জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা। সরকারি মহলের ব্যাখ্যা, শ্রম আইনের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কার্যকরতা ভারতের অভ্যন্তরীণ সংস্কার-ইচ্ছার প্রমাণ, যা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতায় দেশের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে।
এদিকে বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, শ্রমিকদের মতামত যথাযথভাবে না নিয়েই কেন্দ্র তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিল। তাঁদের দাবি, নতুন কোডে কর্মীদের অধিকার খর্ব হবে এবং ক্ষুদ্র শিল্পে অসমতা বাড়বে। যদিও কেন্দ্রের জবাব—সংস্কারটি বহু পরামর্শ, বিশেষজ্ঞ মতামত এবং রাজ্যগুলির সুপারিশের ভিত্তিতেই এগিয়েছে এবং শ্রমিক কল্যাণই এর মূল লক্ষ্য।
জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ভারতের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ও নীতিগত পদক্ষেপগুলির সাফল্য তুলে ধরার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
তার আগে শ্রম আইনের বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত ঘোষণা যে কেন্দ্রের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বার্তাকে আরও জোরালো করবে, তা নিয়েও সংশয় নেই বিশেষজ্ঞমহলে।
কেন্দ্র দেশে ঐতিহাসিক শ্রম সংস্কার কার্যকর করল। চারটি নতুন শ্রম বিধি—মজুরি কোড (২০১৯), ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড (২০২০), সোশ্যাল সিকিউরিটি কোড (২০২০) এবং অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড (২০২০)—শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, 'আজ আমাদের সরকার চারটি শ্রমবিধিকে কার্যকর করেছে। স্বাধীনতার পর এটি সবচেয়ে বিস্তৃত ও অগ্রগামী শ্রমমুখী সংস্কারের মধ্যে অন্যতম। এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের ক্ষমতায়নকে আরও জোরদার করেছে। পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনায় নিয়মকানুন মানার প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করেছে এবং ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’-কে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।'
জি-২০ শীর্ষসম্মেলনে মোদি ভারতীয় অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি-বিনিয়োগ, জলবায়ু লক্ষ্য এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের অগ্রাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখবেন বলেই জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা। সরকারি মহলের ব্যাখ্যা, শ্রম আইনের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কার্যকরতা ভারতের অভ্যন্তরীণ সংস্কার-ইচ্ছার প্রমাণ, যা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতায় দেশের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে।
এদিকে বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, শ্রমিকদের মতামত যথাযথভাবে না নিয়েই কেন্দ্র তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিল। তাঁদের দাবি, নতুন কোডে কর্মীদের অধিকার খর্ব হবে এবং ক্ষুদ্র শিল্পে অসমতা বাড়বে। যদিও কেন্দ্রের জবাব—সংস্কারটি বহু পরামর্শ, বিশেষজ্ঞ মতামত এবং রাজ্যগুলির সুপারিশের ভিত্তিতেই এগিয়েছে এবং শ্রমিক কল্যাণই এর মূল লক্ষ্য।
জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ভারতের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ও নীতিগত পদক্ষেপগুলির সাফল্য তুলে ধরার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
তার আগে শ্রম আইনের বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত ঘোষণা যে কেন্দ্রের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বার্তাকে আরও জোরালো করবে, তা নিয়েও সংশয় নেই বিশেষজ্ঞমহলে।
কেন্দ্র দেশে ঐতিহাসিক শ্রম সংস্কার কার্যকর করল। চারটি নতুন শ্রম বিধি—মজুরি কোড (২০১৯), ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড (২০২০), সোশ্যাল সিকিউরিটি কোড (২০২০) এবং অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড (২০২০)—শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন