মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, টিআরপি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও রাখতে হবে।
কলকাতা : টেলিভিশনকে সমাজচেতনা, মানবিকতা ও সুশিক্ষা বৃদ্ধির প্রধান মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধারাবাহিক নির্মাতাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, আধুনিক প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ও সামাজিক মূল্যবোধ বহু ক্ষেত্রে সঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে না, তাই টেলিভিশনের মাধ্যমেই সেই শূন্যতা পূরণ করতে হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সময় পেলেই তিনি নিজেও সিরিয়াল দেখেন। তাঁর কথায়, অনেক ক্ষেত্রে গল্প বাড়াতে গিয়ে চরিত্রকে মেরে ফেলা, কূটকচালি—এসবই ধারাবাহিকের অংশ, তবে টিআরপি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও রাখতে হবে। শিল্পী ও কলাকুশলীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, তাঁদের নিরলস পরিশ্রমেই মানুষের বিনোদন জগত বেঁচে থাকে। “শিল্পীদের জীবনে ছুটি নেই, উৎসব নেই। এটাই তাঁদের উৎসব,” — মন্তব্য মমতার।
অনুষ্ঠানে একাধিক বিভাগে পুরস্কার প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হলেন ‘পরিণীতা’-র উদয়প্রতাপ সিং, ‘তুই আমার হিরো’-র রুবেল দাস এবং ‘দাদামণি’-র প্রতীক সেন। মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হয় বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জেতেন ‘শুভবিবাহ’-এর সোনামণি সাহা, ‘রোশনাই’-এর তিয়াসা লেপচা এবং ‘পরশুরাম’-এর তৃণা সাহা। টেকনিশিয়ানদের কল্যাণে রাজ্য সরকারের তরফে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়াকার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়াকে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই চেক গ্রহণ করেন সংগঠনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন-সহ টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী লেখা গান পরিবেশন করেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং রূপঙ্কর বাগচী। নাচ-গানে, শিল্পীদের পারফরম্যান্সে বর্ণময় হয়ে ওঠে গোটা সন্ধ্যা।
![]() |
| টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে। বৃহস্পতিবার। |
কলকাতা : টেলিভিশনকে সমাজচেতনা, মানবিকতা ও সুশিক্ষা বৃদ্ধির প্রধান মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধারাবাহিক নির্মাতাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, আধুনিক প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ও সামাজিক মূল্যবোধ বহু ক্ষেত্রে সঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে না, তাই টেলিভিশনের মাধ্যমেই সেই শূন্যতা পূরণ করতে হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সময় পেলেই তিনি নিজেও সিরিয়াল দেখেন। তাঁর কথায়, অনেক ক্ষেত্রে গল্প বাড়াতে গিয়ে চরিত্রকে মেরে ফেলা, কূটকচালি—এসবই ধারাবাহিকের অংশ, তবে টিআরপি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও রাখতে হবে। শিল্পী ও কলাকুশলীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, তাঁদের নিরলস পরিশ্রমেই মানুষের বিনোদন জগত বেঁচে থাকে। “শিল্পীদের জীবনে ছুটি নেই, উৎসব নেই। এটাই তাঁদের উৎসব,” — মন্তব্য মমতার।
অনুষ্ঠানে একাধিক বিভাগে পুরস্কার প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হলেন ‘পরিণীতা’-র উদয়প্রতাপ সিং, ‘তুই আমার হিরো’-র রুবেল দাস এবং ‘দাদামণি’-র প্রতীক সেন। মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হয় বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জেতেন ‘শুভবিবাহ’-এর সোনামণি সাহা, ‘রোশনাই’-এর তিয়াসা লেপচা এবং ‘পরশুরাম’-এর তৃণা সাহা। টেকনিশিয়ানদের কল্যাণে রাজ্য সরকারের তরফে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়াকার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়াকে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই চেক গ্রহণ করেন সংগঠনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন-সহ টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী লেখা গান পরিবেশন করেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং রূপঙ্কর বাগচী। নাচ-গানে, শিল্পীদের পারফরম্যান্সে বর্ণময় হয়ে ওঠে গোটা সন্ধ্যা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন