পিছনে লাগতে গেলেও একটা ভালো পিছন লাগে: কুণাল। দেবের হাসি, যাক আমি তাহলে এগিয়ে আছি।
![]() |
| বিজয়া সম্মিলনীতে কুণাল ঘোষকে সম্বর্ধনা জানালেন দেব। |
বিকেল থেকেই টেকনিশিয়ান্স স্টুডিয়োয় ভিড় বাড়তে থাকে। হাজির ছিলেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সঙ্গে জিৎ, আবির, শিবপ্রসাদ, দেব-সহ টলিউডের বহু তারকা। মঞ্চে একে একে সবার হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছিলেন আয়োজকেরা। এরপর ঘোষিত হল কুণাল ঘোষের নাম। হঠাৎই অরূপ বিশ্বাস মঞ্চ থেকে বলে উঠলেন, “আমি অনুরোধ করছি, দেব যেন কুণাল ঘোষকে সম্বর্ধনা দেয়।” মুহূর্তেই ভিড়ের মধ্যে চাপা উত্তেজনা।
দেব এগিয়ে এলেন, মুখে হাসি। কুণালকে সম্বর্ধনা দিলেন, তারপরেই হেসে বললেন, “ও কুণালদা, আর কতদিন পিছনে লাগবে, আগে আমাকে ক্লিয়ার করো।” দর্শকের হাসির রোলের মধ্যেই কুণালও মাইক হাতে তুলে নিলেন। তাঁর জবাব, “আমার উত্তরটা স্পষ্ট ছিল, পিছনে লাগতে গেলেও ভালো পিছন দরকার।” হাসির রেশ কাটতে না কাটতেই নিজেকে সামলে কুণাল বললেন, “দেবের জন্য অনেক শুভেচ্ছা। আমি দেবকে খুব ভালোবাসি, এর জন্য কাউকে কৈফিয়ত দিতে হয় না। মাঝে মধ্যে টুকটাক লাগলেও দেব দেবই, ওর প্রতিভা অস্বীকার করার জায়গা নেই। আমাদের দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক ছিল, আছে, থাকবে।”
মঞ্চে উঠে কুণালের ঘাড়ে হাত রেখে দেব বললেন, “কুণালদা আমার খুব কাছের মানুষ। উনি ছবিও করছেন, ওঁর জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমরা সবাই একজোট হয়ে কাজ করব, নেতিবাচকতার কোনও জায়গা নেই।”
দু’জনের এই প্রকাশ্য সৌহার্দ্য দর্শকদের করতালিতে মঞ্চ ভরে যায়। যেন অতীতের কাদা ছুঁড়ে ফেলে নতুন সম্পর্কের সূচনা হল। অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিতদের মুখে একটাই কথা— “সব ভাল যার শেষ ভাল।”
রাজনীতির মঞ্চে ভিন্ন অবস্থান থাকলেও, সিনেমার জগতে দেব সব সময়ই সহকর্মীদের সঙ্গে মিশে কাজ করেন। ক’দিন আগেই কুণাল জানিয়েছিলেন, দেবের সঙ্গে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত মনোমালিন্য নেই, কিছু বিষয় নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। এদিনের সেই মঞ্চ যেন প্রমাণ করে দিল, টলিউডে সৌহার্দ্য ও ইতিবাচকতার জায়গা এখনো অটুট।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন