নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি খুব বয়স্ক হন, অথবা তাঁর এমন রোগ থাকে যা আমেরিকার অর্থনীতির উপর আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে, তবে তাঁর ভিসা আবেদন পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
নয়াদিল্লি : আমেরিকায় প্রবেশের নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আনল ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, যাদের হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ও মানসিক অসুখ রয়েছে, তাঁদের আর সহজে ভিসা বা গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে না। হোয়াইট হাউস থেকে বিশ্বজুড়ে সব মার্কিন কনসুলেটে পাঠানো হয়েছে এই নির্দেশিকা, যেখানে ভিসা অফিসারদের জানানো হয়েছে, আবেদনকারীর স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়স এখন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি খুব বয়স্ক হন, অথবা তাঁর এমন রোগ থাকে যা আমেরিকার অর্থনীতির উপর আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে, তবে তাঁর ভিসা আবেদন পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রজনিত সমস্যা, ক্যানসার, মেটাবলিক ও নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, মানসিক অসুস্থতা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ। বিশেষভাবে ‘স্থূলতা’কে একটি নির্ধারক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থূলতার কারণে অ্যাজমা, স্লিপ অ্যাপনিয়া, উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখ তৈরি হয়—যা ব্যয়বহুল চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত। ফলে ভিসা অফিসারদের দেখতে হবে আবেদনকারী নিজের চিকিৎসার খরচ বহন করতে সক্ষম কি না, নাকি ভবিষ্যতে তাঁকে সরকারি সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হবে।
শুধু আবেদনকারীর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যই নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে কনস্যুলার অফিসারদের। যদি পরিবারের কারও দীর্ঘস্থায়ী অসুখ, শারীরিক অক্ষমতা বা বিশেষ যত্নের প্রয়োজন থাকে, তবে আবেদনকারী কাজ ধরে রাখতে পারবেন কি না, সেটিও বিবেচনা করা হবে। কারণ, এমন পরিস্থিতিতে তিনি ‘পাবলিক চার্জ’—অর্থাৎ সরকারি সহায়তার উপর নির্ভরশীল নাগরিক—হয়ে উঠতে পারেন।
এই নির্দেশিকার ফলে মার্কিন ভিসা প্রক্রিয়ায় ‘পাবলিক চার্জ’ নীতির বড় সম্প্রসারণ ঘটল। এতদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মূল গুরুত্ব দেওয়া হতো সংক্রামক রোগে, যেমন যক্ষ্মা। কিন্তু এবার তা ছড়িয়ে পড়ছে অসংক্রামক দীর্ঘস্থায়ী রোগ পর্যন্ত। ইমিগ্রেশন আইনজীবীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই নীতি ভিসা অফিসারদের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিচ্ছে, যেখানে চিকিৎসা বিষয়ে বিশেষজ্ঞতা ছাড়াই তাঁরা আবেদনকারীর শারীরিক যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন নিয়ম আইনি অভিবাসনে বড় প্রভাব ফেলবে। প্রবীণ আবেদনকারী এবং দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতাযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। শুধু গ্রিন কার্ড বা স্থায়ী বাসিন্দার অনুমতিই নয়, পর্যটক (B-1/B-2) এবং ছাত্র (F-1) ভিসার ক্ষেত্রেও এই নীতি প্রযোজ্য হবে।
এই পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা ট্রাম্প প্রশাসনের কড়াকড়ি অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবেই দেখছেন। এক অর্থে, এখন থেকে কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্যই নির্ধারণ করবে তিনি আমেরিকায় বসবাসের যোগ্য কি না।
নতুন মার্কিন নীতি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আমেরিকা ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর ও স্বাস্থ্যবান অভিবাসী চাইছে। ফলে যারা বৃদ্ধ, অসুস্থ বা চিকিৎসার জন্য সরকারি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল, তাঁদের জন্য আমেরিকার দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু অভিবাসন নয়, মানবিক ও সামাজিক নীতির ক্ষেত্রেও এক বড় পরিবর্তনের প্রতীক।
![]() |
| মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি। |
নয়াদিল্লি : আমেরিকায় প্রবেশের নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আনল ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, যাদের হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ও মানসিক অসুখ রয়েছে, তাঁদের আর সহজে ভিসা বা গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে না। হোয়াইট হাউস থেকে বিশ্বজুড়ে সব মার্কিন কনসুলেটে পাঠানো হয়েছে এই নির্দেশিকা, যেখানে ভিসা অফিসারদের জানানো হয়েছে, আবেদনকারীর স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়স এখন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি খুব বয়স্ক হন, অথবা তাঁর এমন রোগ থাকে যা আমেরিকার অর্থনীতির উপর আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে, তবে তাঁর ভিসা আবেদন পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রজনিত সমস্যা, ক্যানসার, মেটাবলিক ও নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, মানসিক অসুস্থতা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ। বিশেষভাবে ‘স্থূলতা’কে একটি নির্ধারক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থূলতার কারণে অ্যাজমা, স্লিপ অ্যাপনিয়া, উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখ তৈরি হয়—যা ব্যয়বহুল চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত। ফলে ভিসা অফিসারদের দেখতে হবে আবেদনকারী নিজের চিকিৎসার খরচ বহন করতে সক্ষম কি না, নাকি ভবিষ্যতে তাঁকে সরকারি সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হবে।
শুধু আবেদনকারীর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যই নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে কনস্যুলার অফিসারদের। যদি পরিবারের কারও দীর্ঘস্থায়ী অসুখ, শারীরিক অক্ষমতা বা বিশেষ যত্নের প্রয়োজন থাকে, তবে আবেদনকারী কাজ ধরে রাখতে পারবেন কি না, সেটিও বিবেচনা করা হবে। কারণ, এমন পরিস্থিতিতে তিনি ‘পাবলিক চার্জ’—অর্থাৎ সরকারি সহায়তার উপর নির্ভরশীল নাগরিক—হয়ে উঠতে পারেন।
এই নির্দেশিকার ফলে মার্কিন ভিসা প্রক্রিয়ায় ‘পাবলিক চার্জ’ নীতির বড় সম্প্রসারণ ঘটল। এতদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মূল গুরুত্ব দেওয়া হতো সংক্রামক রোগে, যেমন যক্ষ্মা। কিন্তু এবার তা ছড়িয়ে পড়ছে অসংক্রামক দীর্ঘস্থায়ী রোগ পর্যন্ত। ইমিগ্রেশন আইনজীবীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই নীতি ভিসা অফিসারদের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিচ্ছে, যেখানে চিকিৎসা বিষয়ে বিশেষজ্ঞতা ছাড়াই তাঁরা আবেদনকারীর শারীরিক যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন নিয়ম আইনি অভিবাসনে বড় প্রভাব ফেলবে। প্রবীণ আবেদনকারী এবং দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতাযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। শুধু গ্রিন কার্ড বা স্থায়ী বাসিন্দার অনুমতিই নয়, পর্যটক (B-1/B-2) এবং ছাত্র (F-1) ভিসার ক্ষেত্রেও এই নীতি প্রযোজ্য হবে।
এই পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা ট্রাম্প প্রশাসনের কড়াকড়ি অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবেই দেখছেন। এক অর্থে, এখন থেকে কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্যই নির্ধারণ করবে তিনি আমেরিকায় বসবাসের যোগ্য কি না।
নতুন মার্কিন নীতি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আমেরিকা ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর ও স্বাস্থ্যবান অভিবাসী চাইছে। ফলে যারা বৃদ্ধ, অসুস্থ বা চিকিৎসার জন্য সরকারি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল, তাঁদের জন্য আমেরিকার দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু অভিবাসন নয়, মানবিক ও সামাজিক নীতির ক্ষেত্রেও এক বড় পরিবর্তনের প্রতীক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন