মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকেই কাবুল-ইসলামাবাদ সম্পর্ক উত্তপ্ত। সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে বহু হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাওলভি মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ পাকিস্তানের করা অভিযোগকে “ভিত্তিহীন, অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য” বলে কড়া ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইসলামাবাদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, ভারত আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। কিন্তু মুজাহিদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—কাবুল তার পররাষ্ট্রনীতি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালনা করে এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে জাতীয় স্বার্থের সীমারেখার মধ্যেই।
আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের ভূখণ্ড অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার কোনও নীতি নেই। আমরা একটি স্বাধীন দেশ, এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক সুসম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধির ভিত্তিতে গড়ে তোলা উচিত। “দুই দেশ প্রতিবেশী। বিরোধে কারও লাভ নেই। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সুসম্পর্কের মাধ্যমেই স্থিতিশীলতা আসতে পারে,” মন্তব্য করেন মুজাহিদ।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক সুসম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধির ভিত্তিতে গড়ে তোলা উচিত। “দুই দেশ প্রতিবেশী। বিরোধে কারও লাভ নেই। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সুসম্পর্কের মাধ্যমেই স্থিতিশীলতা আসতে পারে,” মন্তব্য করেন মুজাহিদ।
তিনি দোহা চুক্তির প্রসঙ্গও তোলেন। জানালেন, আসন্ন তুরস্ক বৈঠকে চুক্তি বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণই হবে মূল আলোচ্য। পাকিস্তান যদি শর্ত না মানে, তা হলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। মুজাহিদ আরও দাবি করেন, আফগান সরকার কোনও সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পাকিস্তানসহ কোনও দেশের বিরুদ্ধে সমর্থন দেয় না। তবে কেউ আফগানিস্তানে হামলা চালালে দেশ রক্ষায় তারা “বীরত্বের সঙ্গে” লড়বে।
উল্লেখ্য, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকেই কাবুল-ইসলামাবাদ সম্পর্ক উত্তপ্ত। সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে বহু হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, তালিবান প্রশাসন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র মতো গোষ্ঠীগুলিকে আশ্রয় দিচ্ছে। অক্টোবর মাসেই আফগান মাটিতে থাকা জঙ্গিদের হাতে শতাধিক পাক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র। এই প্রেক্ষিতে ইসলামাবাদ আফগান অভিবাসীদের দেশছাড়া করছে, এমনকি ভারতের উপরও দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। তবে ভারত বলেছে, পাকিস্তান তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সমস্যার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপাতে অভ্যস্ত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন