প্রিন্সেস ডায়ানার বিখ্যাত ‘লাভার্স নট টিয়ারা’ ফের আলোচনায়। যা ছিল তাঁর ব্যক্তিত্বেরই অংশ।
ঝলমলে ঝাড়বাতির আলোয় ভেসে যাচ্ছে রাজপ্রাসাদের মহল। সোনালি মখমলের গাউন পরিহিতা এক রাজকুমারী ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছেন। তাঁর মাথায় জ্বলজ্বল করছে এক অলঙ্কার। যার প্রতিটি হীরকখণ্ড যেন হাজারো বছরের ইতিহাসের গোপন কথা ফিসফিসিয়ে বলছে । আসলে, এ শুধু একটি টিয়ারা নয়— এ যেন ভালোবাসার অটুট বন্ধনের প্রতীক। বেদনা আর মহিমার মিলনমালা। এটিই ‘লাভার্স নট টিয়ারা’। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইউরোপীয় রাজপরিবারের আবেগ, স্মৃতি আর কাহিনি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজকীয় আয়োজনে নজর কেড়েছে এই ‘লাভার্স নট টিয়ারা’। উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হলে রাজকীয় প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার বিখ্যাত ‘লাভার্স নট টিয়ারা’ পরে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে হাজির হন প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন। তারপর থেকেই ফের আলোচনায় উঠে এসেছে অলঙ্কারটি।
এই টিয়ারার উৎপত্তি প্রুশিয়ান রাজপরিবারে। জার্মানির রাজবংশে ‘লাভার্স নট’ নকশা একসময় বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিল, কারণ এটি দম্পতির চিরন্তন সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে দেখা হত। রানী মেরি সেই নকশাকে অনুপ্রেরণা করে ১৯১৩ সালে গ্যারার্ড নামের বিখ্যাত জুয়েলার্সের হাতে তৈরি করালেন এক অনন্য টিয়ারা, যা পরে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠল। হীরের ঝলকানি আর মুক্তার ঝুলন্ত ফোঁটা এই টিয়ারাকে দিলো এক নাটকীয় মহিমা, যা দেখলে চোখ ফেরানো যায় না।
কিন্তু এর সবচেয়ে আলোচিত অধ্যায় শুরু হয় প্রিন্সেস ডায়ানার মাধ্যমে। বিয়ের পর তিনি প্রায়শই এই টিয়ারা পরতেন। ঝলমলে ফ্ল্যাশের সামনে তাঁর মায়াবী হাসি আর মাথায় ‘লাভার্স নট টিয়ারা’ যেন একে অপরের পরিপূরক ছিল। রাজকীয় অনুষ্ঠানগুলিতে তিনি যখন এটি পরতেন, তখন মনে হত টিয়ারাটি যেন তাঁর ব্যক্তিত্বেরই অংশ। অথচ এর আড়ালে ছিল বেদনাও। ডায়ানার অশান্ত দাম্পত্য জীবন, তাঁর একাকীত্ব, আর জনসম্মুখে লুকোনো দুঃখ যেন অদৃশ্যভাবে এই অলঙ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে গেল। তাই মানুষ একে শুধু রাজকীয় আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে নয়, বরং এক নারীর অন্তর্দ্বন্দ্বের নিঃশব্দ সাক্ষী হিসেবেও দেখতে শুরু করল।
প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর টিয়ারাটি দীর্ঘ সময় রাজপ্রাসাদের ভল্টে প্রায় অনাদরে পড়ে ছিল। যেন সেটিও শোকে নিমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে বহু বছর পরে, যখন প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন, বর্তমান প্রিন্সেস অব ওয়েলস, এটি মাথায় পরেন, তখন ফের জীবন্ত হয়ে ওঠে সেই রাজকীয় ঐতিহ্য। কেটের সৌন্দর্য ও মর্যাদার সঙ্গে মিশে গিয়ে টিয়ারাটি নতুন করে জন্ম নেয়, আর প্রমাণ করে যে ঐতিহ্য কখনও শেষ হয় না, কেবল নতুন রূপে প্রকাশিত হয়।
‘লাভার্স নট টিয়ারা’-কে ঘিরে এই গল্পগুলো তাই কেবল হীরক-মুক্তার ঝলকানি নয়, বরং ইতিহাস, ভালোবাসা, দুঃখ আর পুনঃপ্রকাশের নাটকীয় আখ্যান। একদিকে প্রুশিয়ান রাজপরিবারের শিকড়, অন্যদিকে ব্রিটিশ রাজকীয় আভিজাত্য, তার মাঝে প্রিন্সেস ডায়ানার ভালোবাসা ও বেদনার স্মৃতি—সব মিলিয়ে এই টিয়ারা আজ এক জীবন্ত কিংবদন্তি, যার প্রতিটি ঝকঝকে পাথর মানুষের মনে জাগায় আবেগ, বিস্ময় আর অনন্ত কৌতূহল।
ঝলমলে ঝাড়বাতির আলোয় ভেসে যাচ্ছে রাজপ্রাসাদের মহল। সোনালি মখমলের গাউন পরিহিতা এক রাজকুমারী ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছেন। তাঁর মাথায় জ্বলজ্বল করছে এক অলঙ্কার। যার প্রতিটি হীরকখণ্ড যেন হাজারো বছরের ইতিহাসের গোপন কথা ফিসফিসিয়ে বলছে । আসলে, এ শুধু একটি টিয়ারা নয়— এ যেন ভালোবাসার অটুট বন্ধনের প্রতীক। বেদনা আর মহিমার মিলনমালা। এটিই ‘লাভার্স নট টিয়ারা’। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইউরোপীয় রাজপরিবারের আবেগ, স্মৃতি আর কাহিনি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজকীয় আয়োজনে নজর কেড়েছে এই ‘লাভার্স নট টিয়ারা’। উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হলে রাজকীয় প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার বিখ্যাত ‘লাভার্স নট টিয়ারা’ পরে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে হাজির হন প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন। তারপর থেকেই ফের আলোচনায় উঠে এসেছে অলঙ্কারটি।
এই টিয়ারার উৎপত্তি প্রুশিয়ান রাজপরিবারে। জার্মানির রাজবংশে ‘লাভার্স নট’ নকশা একসময় বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিল, কারণ এটি দম্পতির চিরন্তন সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে দেখা হত। রানী মেরি সেই নকশাকে অনুপ্রেরণা করে ১৯১৩ সালে গ্যারার্ড নামের বিখ্যাত জুয়েলার্সের হাতে তৈরি করালেন এক অনন্য টিয়ারা, যা পরে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠল। হীরের ঝলকানি আর মুক্তার ঝুলন্ত ফোঁটা এই টিয়ারাকে দিলো এক নাটকীয় মহিমা, যা দেখলে চোখ ফেরানো যায় না।
কিন্তু এর সবচেয়ে আলোচিত অধ্যায় শুরু হয় প্রিন্সেস ডায়ানার মাধ্যমে। বিয়ের পর তিনি প্রায়শই এই টিয়ারা পরতেন। ঝলমলে ফ্ল্যাশের সামনে তাঁর মায়াবী হাসি আর মাথায় ‘লাভার্স নট টিয়ারা’ যেন একে অপরের পরিপূরক ছিল। রাজকীয় অনুষ্ঠানগুলিতে তিনি যখন এটি পরতেন, তখন মনে হত টিয়ারাটি যেন তাঁর ব্যক্তিত্বেরই অংশ। অথচ এর আড়ালে ছিল বেদনাও। ডায়ানার অশান্ত দাম্পত্য জীবন, তাঁর একাকীত্ব, আর জনসম্মুখে লুকোনো দুঃখ যেন অদৃশ্যভাবে এই অলঙ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে গেল। তাই মানুষ একে শুধু রাজকীয় আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে নয়, বরং এক নারীর অন্তর্দ্বন্দ্বের নিঃশব্দ সাক্ষী হিসেবেও দেখতে শুরু করল।
প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর টিয়ারাটি দীর্ঘ সময় রাজপ্রাসাদের ভল্টে প্রায় অনাদরে পড়ে ছিল। যেন সেটিও শোকে নিমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে বহু বছর পরে, যখন প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন, বর্তমান প্রিন্সেস অব ওয়েলস, এটি মাথায় পরেন, তখন ফের জীবন্ত হয়ে ওঠে সেই রাজকীয় ঐতিহ্য। কেটের সৌন্দর্য ও মর্যাদার সঙ্গে মিশে গিয়ে টিয়ারাটি নতুন করে জন্ম নেয়, আর প্রমাণ করে যে ঐতিহ্য কখনও শেষ হয় না, কেবল নতুন রূপে প্রকাশিত হয়।
‘লাভার্স নট টিয়ারা’-কে ঘিরে এই গল্পগুলো তাই কেবল হীরক-মুক্তার ঝলকানি নয়, বরং ইতিহাস, ভালোবাসা, দুঃখ আর পুনঃপ্রকাশের নাটকীয় আখ্যান। একদিকে প্রুশিয়ান রাজপরিবারের শিকড়, অন্যদিকে ব্রিটিশ রাজকীয় আভিজাত্য, তার মাঝে প্রিন্সেস ডায়ানার ভালোবাসা ও বেদনার স্মৃতি—সব মিলিয়ে এই টিয়ারা আজ এক জীবন্ত কিংবদন্তি, যার প্রতিটি ঝকঝকে পাথর মানুষের মনে জাগায় আবেগ, বিস্ময় আর অনন্ত কৌতূহল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন