ভোটার তালিকা সংশোধনে নথি নিয়ে বিভ্রান্তি, স্পষ্ট ব্যাখ্যা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের।

নয়াদিল্লি : ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। কার নাম ভোটার তালিকায় থাকবে, কার নাম বাদ যেতে পারে— তা নিয়ে উদ্বেগে আম জনতার। পাশাপাশি, প্রক্রিয়ায় কোন নথি প্রয়োজন এবং কোন নথি বৈধ, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এই সমস্ত প্রশ্নের জবাবেই সোমবার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
তিনি জানান, এসআইআর প্রক্রিয়ায় বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) বাড়ি বাড়ি যাবেন এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে। নাগরিকদের সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। তবে ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দিতে হবে না। এমনকি, কোনও নাগরিকের নিজের নাম না থাকলেও যদি তাঁর বাবা-মায়ের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় থাকে, তাহলেও বাড়তি নথি দিতে হবে না। এই ক্ষেত্রে কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম পূরণ করলেই হবে।
তবে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে— যদি কোনও প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় না থাকে, তাহলে? কমিশনের মতে, সেই নাগরিকের বাবা বা মায়ের নাম খুঁজে দেখতে হবে ২০০৩ সালের তালিকায়। যদি তা না পাওয়া যায়, তবে কমিশন নির্ধারিত নথি জমা দিতে হবে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য।
কমিশন যে ১১টি নথি বৈধ বলে ঘোষণা করেছে, সেগুলি হল—
১) কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কর্মী বা পেনশনভোগীর পরিচয়পত্র,
২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি বা স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া নথি,
৩) জন্ম শংসাপত্র,
৪) পাসপোর্ট,
৫) মাধ্যমিক বা তার বেশি শিক্ষাগত শংসাপত্র,
৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র,
৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট,
৮) জাতিগত শংসাপত্র,
৯) নাগরিকদের ন্যাশনাল রেজিস্টার,
১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্টার,
১১) জমি বা বাড়ির দলিল।
এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আধার কার্ড পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, তবে তা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হবে না। আধারের সঙ্গে উপরোক্ত ১১টি নথির যে কোনও একটি জমা দিতে হবে। তদুপরি, যদি অন্য কোনও নথি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে, সেটিও কমিশন বিবেচনা করবে।
তবে সবচেয়ে বিতর্কের জায়গা অনাথ বা আশ্রয়হীন নাগরিকদের ক্ষেত্রে। যাঁদের কাছে বাবা-মায়ের কোনও নথি নেই, তাঁদের কী হবে— সেই প্রশ্নে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি। কোটি কোটি জনসংখ্যার দেশে অনেকেই আছেন যারা কোনও দুর্ঘটনা বা পরিস্থিতির কারণে পিতা-মাতাকে হারিয়েছেন এবং আশ্রম বা আত্মীয়-স্বজনের কাছে বড় হয়েছেন। তাঁদের কীভাবে বৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণ করা সম্ভব, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই বিষয়ে কমিশনের আধিকারিকরা বলেন, “কোথাও তো তাঁদের বাবা-মা থাকবেন। বিএলও’রা নিশ্চয় তাঁদের খুঁজে বের করবেন।” তবে বাস্তবে এটি কতটা সম্ভব, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কে ভোটার হতে পারবেন, সেই প্রসঙ্গে জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করে জানান— ভোটার হতে হলে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা তার বেশি, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় বসবাস করতে হবে এবং কোনও আইনের দ্বারা ভোটাধিকার বাতিল হওয়া চলবে না।
এসব নির্দেশের মধ্যেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ, বিশেষত প্রান্তিক ও নথিহীন নাগরিকরা আদৌ কি এই প্রক্রিয়ায় সহজে নিজেদের ভোটাধিকার বজায় রাখতে পারবেন?

নয়াদিল্লি : ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। কার নাম ভোটার তালিকায় থাকবে, কার নাম বাদ যেতে পারে— তা নিয়ে উদ্বেগে আম জনতার। পাশাপাশি, প্রক্রিয়ায় কোন নথি প্রয়োজন এবং কোন নথি বৈধ, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এই সমস্ত প্রশ্নের জবাবেই সোমবার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
তিনি জানান, এসআইআর প্রক্রিয়ায় বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) বাড়ি বাড়ি যাবেন এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে। নাগরিকদের সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। তবে ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দিতে হবে না। এমনকি, কোনও নাগরিকের নিজের নাম না থাকলেও যদি তাঁর বাবা-মায়ের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় থাকে, তাহলেও বাড়তি নথি দিতে হবে না। এই ক্ষেত্রে কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম পূরণ করলেই হবে।
তবে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে— যদি কোনও প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় না থাকে, তাহলে? কমিশনের মতে, সেই নাগরিকের বাবা বা মায়ের নাম খুঁজে দেখতে হবে ২০০৩ সালের তালিকায়। যদি তা না পাওয়া যায়, তবে কমিশন নির্ধারিত নথি জমা দিতে হবে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য।
কমিশন যে ১১টি নথি বৈধ বলে ঘোষণা করেছে, সেগুলি হল—
১) কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কর্মী বা পেনশনভোগীর পরিচয়পত্র,
২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি বা স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া নথি,
৩) জন্ম শংসাপত্র,
৪) পাসপোর্ট,
৫) মাধ্যমিক বা তার বেশি শিক্ষাগত শংসাপত্র,
৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র,
৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট,
৮) জাতিগত শংসাপত্র,
৯) নাগরিকদের ন্যাশনাল রেজিস্টার,
১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্টার,
১১) জমি বা বাড়ির দলিল।
এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আধার কার্ড পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, তবে তা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হবে না। আধারের সঙ্গে উপরোক্ত ১১টি নথির যে কোনও একটি জমা দিতে হবে। তদুপরি, যদি অন্য কোনও নথি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে, সেটিও কমিশন বিবেচনা করবে।
তবে সবচেয়ে বিতর্কের জায়গা অনাথ বা আশ্রয়হীন নাগরিকদের ক্ষেত্রে। যাঁদের কাছে বাবা-মায়ের কোনও নথি নেই, তাঁদের কী হবে— সেই প্রশ্নে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি। কোটি কোটি জনসংখ্যার দেশে অনেকেই আছেন যারা কোনও দুর্ঘটনা বা পরিস্থিতির কারণে পিতা-মাতাকে হারিয়েছেন এবং আশ্রম বা আত্মীয়-স্বজনের কাছে বড় হয়েছেন। তাঁদের কীভাবে বৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণ করা সম্ভব, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই বিষয়ে কমিশনের আধিকারিকরা বলেন, “কোথাও তো তাঁদের বাবা-মা থাকবেন। বিএলও’রা নিশ্চয় তাঁদের খুঁজে বের করবেন।” তবে বাস্তবে এটি কতটা সম্ভব, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কে ভোটার হতে পারবেন, সেই প্রসঙ্গে জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করে জানান— ভোটার হতে হলে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা তার বেশি, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় বসবাস করতে হবে এবং কোনও আইনের দ্বারা ভোটাধিকার বাতিল হওয়া চলবে না।
এসব নির্দেশের মধ্যেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ, বিশেষত প্রান্তিক ও নথিহীন নাগরিকরা আদৌ কি এই প্রক্রিয়ায় সহজে নিজেদের ভোটাধিকার বজায় রাখতে পারবেন?
সূত্র : নির্বাচন কমিশন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন