তৃণমূল ঘটনার জন্য বিজেপির ‘ভয়ের রাজনীতি’কে দায়ী করেছে, আর বিজেপি একে রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহারের পাল্টা অভিযোগ এনেছে।
কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হওয়া আতঙ্ক ও আলোচনা-দ্বন্দ্বের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির একটি বাড়িতে এক ব্যক্তির আত্মহত্যায় রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর ডায়রিতে লেখা সুইসাইড নোটে লিখেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য এনআরসি দায়ী।” মৃতের নাম প্রদীপ কর (৫৭)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ বাড়ির একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এই ঘটনার খবর রাজ্য-রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের বিজেপি নেতাদের এনআরসি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য বহু মানুষকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, “এই ঘটনা বিজেপির ভয় ও বিভাজনের রাজনীতির ফল।” অন্যদিকে, পুলিশ ও প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বারাকপুর কমিশনারেট তদন্তে নেমেছে। পরিবারের বক্তব্য ও উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের অর্থ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্ত রিপোর্টেরও অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেটি হাতে এলে ঘটনার প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।
বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে SIR শুরু হবে। দাবি, এই খবরে প্রদীপবাবুর পরিবারে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অবশ্য, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেছেন, এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হবে এবং কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়বে না। কমিশন এই আশ্বাস বারবার দিলেও ভিত্তিহীন গুজব ও বিভ্রান্তি মানুষকে মানসিকভাবে চাপে ফেলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।প্রতিবেশীরা বলছেন, প্রদীপবাবু গত কিছুদিন ধরেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। বেশ কয়েকবার NRC সম্পর্কিত আলোচনায় তাঁকে অস্থির হতে দেখা গিয়েছে।আশপাশের মানুষও লক্ষ্য করেছেন যে তিনি সবসময় কোনওদুঃশ্চিন্তার মধ্যে থাকতেন।
রাজনৈতিক মহলে ঘটনাটি নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। একদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার জন্য বিজেপির ‘ভয়ের রাজনীতি’কে দায়ী করেছে, তখন বিজেপি নেতারা একে রাজনৈতিক ভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। তবে, রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝে পুলিশের তদন্ত ও পরিবারের শান্তির আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া দাবি করছেন স্থানীয় নেতারা। স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন দপ্তরের কথায়, এসআইআর প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ভোটারের কাছে এহেন বিভ্রান্তি কাটাতে সুষ্পষ্ট যোগাযোগ, বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন এবং হেল্পডেস্কের ব্যবস্থা রাখা হবে। পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উদ্বিগ্নদের জন্য স্থানীয়ভাবে পরামর্শ ও সহায়তার ব্যাবস্থা বাড়ানোর কথাও বলা হচ্ছে, যাতে এমন দুঃখজনক ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হওয়া আতঙ্ক ও আলোচনা-দ্বন্দ্বের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির একটি বাড়িতে এক ব্যক্তির আত্মহত্যায় রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর ডায়রিতে লেখা সুইসাইড নোটে লিখেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য এনআরসি দায়ী।” মৃতের নাম প্রদীপ কর (৫৭)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ বাড়ির একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এই ঘটনার খবর রাজ্য-রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের বিজেপি নেতাদের এনআরসি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য বহু মানুষকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, “এই ঘটনা বিজেপির ভয় ও বিভাজনের রাজনীতির ফল।” অন্যদিকে, পুলিশ ও প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বারাকপুর কমিশনারেট তদন্তে নেমেছে। পরিবারের বক্তব্য ও উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের অর্থ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্ত রিপোর্টেরও অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেটি হাতে এলে ঘটনার প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।
বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে SIR শুরু হবে। দাবি, এই খবরে প্রদীপবাবুর পরিবারে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অবশ্য, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেছেন, এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হবে এবং কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়বে না। কমিশন এই আশ্বাস বারবার দিলেও ভিত্তিহীন গুজব ও বিভ্রান্তি মানুষকে মানসিকভাবে চাপে ফেলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।প্রতিবেশীরা বলছেন, প্রদীপবাবু গত কিছুদিন ধরেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। বেশ কয়েকবার NRC সম্পর্কিত আলোচনায় তাঁকে অস্থির হতে দেখা গিয়েছে।আশপাশের মানুষও লক্ষ্য করেছেন যে তিনি সবসময় কোনওদুঃশ্চিন্তার মধ্যে থাকতেন।
রাজনৈতিক মহলে ঘটনাটি নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। একদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার জন্য বিজেপির ‘ভয়ের রাজনীতি’কে দায়ী করেছে, তখন বিজেপি নেতারা একে রাজনৈতিক ভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। তবে, রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝে পুলিশের তদন্ত ও পরিবারের শান্তির আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া দাবি করছেন স্থানীয় নেতারা। স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন দপ্তরের কথায়, এসআইআর প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ভোটারের কাছে এহেন বিভ্রান্তি কাটাতে সুষ্পষ্ট যোগাযোগ, বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন এবং হেল্পডেস্কের ব্যবস্থা রাখা হবে। পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উদ্বিগ্নদের জন্য স্থানীয়ভাবে পরামর্শ ও সহায়তার ব্যাবস্থা বাড়ানোর কথাও বলা হচ্ছে, যাতে এমন দুঃখজনক ঘটনা পুনরায় না ঘটে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন