অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মহেন্দ্র নাগর গ্রামের ছোট কৃষকদের ওপর জোর করে ভয় দেখিয়ে তাদের জমি কম দামে বিক্রির জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের গণেশপুরায় এক কৃষককে গাড়ি চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার ঘটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতিও। পুলিশ ও পরিবারের বিবরণ অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তি রাম স্বরূপ ধাকড়কে বিজেপি নেতা মহেন্দ্র নাগর ও তাঁর অনুগামীরা লাঠি-রড দিয়ে পিটিয়ে পরে থার গাড়ি চালিয়ে দিয়ে তার শরীর পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ধাকড়ের। তাঁর দুই কন্যা বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাঁরাও মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হন বলে দাবি করা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মহেন্দ্র নাগর গ্রামের ছোট কৃষকদের ওপর জোর করে ভয় দেখিয়ে তাদের জমি কম দামে বিক্রির জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। রাম স্বরূপ ধাকড় সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেরনি। তাই তাঁর উপর ক্ষোভ গিয়ে পড়ে বিজেপি নেতার। ঘটনার দিন নাগর ও তাঁর অনুগামীরা মাঝরাস্তায় ঘিরে ফেলে ধাকড়কে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে, পরে গাড়ি চালিয়ে তার উপর দিয়ে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ধাকড়ের এক কন্যা বলেন, “বাবার আর্তনাদ শুনে আমি দৌড়ে যাই। ওরা আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়, পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, এমনকি গুলি চালায়। মা-বাবা খেতে যাচ্ছিলেন, তখনই হামলা চালায়। মা বাঁচাতে গেলে ওরা বাবার উপরে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়।” ধাকড়ের ভাই রামকুমার বলেছেন, “প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে নির্যাতন। প্রায় ২০ জন মিলে গুলি চালায়, আমাদের ভয় দেখায়, দুই মেয়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। তারপর প্রথমে ট্র্যাক্টর, পরে গাড়ি চালিয়ে আমার ভাইকে পিষে দেয়।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ধাকড়কে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেয়নি অভিযুক্তরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তারা বন্দুক দেখিয়ে মৃতদেহ পাহারা দেয় যাতে কেউ এগিয়ে না আসে। পরে পুলিশ এসে ধাকড়কে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফতেহগড় থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মহেন্দ্র নাগর, তাঁর পরিবারের তিন মহিলা সদস্য ও আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে খুন, নারী নির্যাতন ও অন্যান্য ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ফতেহগড় থানার ওসি জয়নারায়ণ শর্মা বলেন, “পরিবারের বয়ান নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি চলছে।”
ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বামোরি এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক ঋষি আগরওয়াল সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “রাজ্যে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অথচ প্রশাসন ক্ষমতাসীনদের ভয়ে কাজ করতে পারছে না—এই হত্যাকাণ্ড তার জ্বলন্ত প্রমাণ।”
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মহেন্দ্র নাগর বহুদিন ধরে তার প্রভাব দেখিয়ে কমপক্ষে ২৫ জন কৃষককে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে এবং অনেকে গ্রাম ছেড়ে গিয়েছেন। রাম স্বরূপ ধাকড় সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন—এ কারণেই শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। পুলিশের নাটকীয় অভিযানের মধ্যেই এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া বিরাজ করছে।

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের গণেশপুরায় এক কৃষককে গাড়ি চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার ঘটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতিও। পুলিশ ও পরিবারের বিবরণ অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তি রাম স্বরূপ ধাকড়কে বিজেপি নেতা মহেন্দ্র নাগর ও তাঁর অনুগামীরা লাঠি-রড দিয়ে পিটিয়ে পরে থার গাড়ি চালিয়ে দিয়ে তার শরীর পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ধাকড়ের। তাঁর দুই কন্যা বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাঁরাও মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হন বলে দাবি করা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মহেন্দ্র নাগর গ্রামের ছোট কৃষকদের ওপর জোর করে ভয় দেখিয়ে তাদের জমি কম দামে বিক্রির জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। রাম স্বরূপ ধাকড় সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেরনি। তাই তাঁর উপর ক্ষোভ গিয়ে পড়ে বিজেপি নেতার। ঘটনার দিন নাগর ও তাঁর অনুগামীরা মাঝরাস্তায় ঘিরে ফেলে ধাকড়কে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে, পরে গাড়ি চালিয়ে তার উপর দিয়ে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ধাকড়ের এক কন্যা বলেন, “বাবার আর্তনাদ শুনে আমি দৌড়ে যাই। ওরা আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়, পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, এমনকি গুলি চালায়। মা-বাবা খেতে যাচ্ছিলেন, তখনই হামলা চালায়। মা বাঁচাতে গেলে ওরা বাবার উপরে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়।” ধাকড়ের ভাই রামকুমার বলেছেন, “প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে নির্যাতন। প্রায় ২০ জন মিলে গুলি চালায়, আমাদের ভয় দেখায়, দুই মেয়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। তারপর প্রথমে ট্র্যাক্টর, পরে গাড়ি চালিয়ে আমার ভাইকে পিষে দেয়।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ধাকড়কে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেয়নি অভিযুক্তরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তারা বন্দুক দেখিয়ে মৃতদেহ পাহারা দেয় যাতে কেউ এগিয়ে না আসে। পরে পুলিশ এসে ধাকড়কে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফতেহগড় থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মহেন্দ্র নাগর, তাঁর পরিবারের তিন মহিলা সদস্য ও আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে খুন, নারী নির্যাতন ও অন্যান্য ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ফতেহগড় থানার ওসি জয়নারায়ণ শর্মা বলেন, “পরিবারের বয়ান নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি চলছে।”
ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বামোরি এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক ঋষি আগরওয়াল সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “রাজ্যে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অথচ প্রশাসন ক্ষমতাসীনদের ভয়ে কাজ করতে পারছে না—এই হত্যাকাণ্ড তার জ্বলন্ত প্রমাণ।”
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মহেন্দ্র নাগর বহুদিন ধরে তার প্রভাব দেখিয়ে কমপক্ষে ২৫ জন কৃষককে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে এবং অনেকে গ্রাম ছেড়ে গিয়েছেন। রাম স্বরূপ ধাকড় সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন—এ কারণেই শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। পুলিশের নাটকীয় অভিযানের মধ্যেই এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া বিরাজ করছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন