স্বাধীনতার পর এ নিয়ে নবমবার এমন নিবিড় সংশোধন হচ্ছে।
নয়াদিল্লি : বিহারে সফলভাবে প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর এবার দ্বিতীয় দফায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision বা SIR) চালু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ঘোষণা করেন, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে এই পর্ব শুরু হবে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে— আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লক্ষদ্বীপ, ছত্তিসগড়, গোয়া, গুজরাত, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। তবে অসমে নাগরিকত্ব যাচাই সংক্রান্ত পৃথক প্রক্রিয়া চলায় সেখানে এই সংশোধন পরে ঘোষণা করা হবে।
কমিশনের সূচি অনুযায়ী ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে তালিকার গণনা প্রক্রিয়া। ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা, ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে দাবি ও আপত্তি জমা দেওয়ার সময়সীমা। শুনানি শেষ হবে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে, এবং ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
বিহারে প্রথম পর্বে প্রায় ৯০ হাজার ভোটকেন্দ্র জুড়ে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ হয়েছে বলে জানান জ্ঞানেশ কুমার। তিনি বলেন, “বিহারের ৭.৫ কোটি ভোটারের অংশগ্রহণ একটি নজির সৃষ্টি করেছে। এই সফল্যই অন্য রাজ্যগুলির জন্য দৃষ্টান্ত।” সোমবার রাত ১২টা থেকেই যেসব রাজ্যে দ্বিতীয় দফা সংশোধন হবে, সেখানকার ভোটার তালিকা ‘ফ্রিজ’ করা হবে বলে জানান তিনি। এরপর প্রতিটি ভোটারকে দেওয়া হবে ইউনিক এনুমারেশন ফর্ম, যেখানে বর্তমান তালিকার সব তথ্য থাকবে।
এই ফর্মগুলির সাহায্যে ভোটাররা তাঁদের তথ্য যাচাই করতে পারবেন। যাঁদের নাম ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় অথবা তাঁদের বাবা-মায়ের নাম সেখানে ছিল, তাঁদের অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ২০০২–২০০৪ সালের বিশেষ সংশোধনের সময়কার তালিকাও কমিশনের ওয়েবসাইট voters.eci.gov.in-এ প্রকাশ করা হবে, যাতে নাগরিকরা সরাসরি অনলাইনে নিজেদের নাম যাচাই করতে পারেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে। মাঠপর্যায়ের কর্মীরা বা বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) প্রত্যেকটি পরিবারে অন্তত তিনবার যাবেন ভোটার তালিকা যাচাইয়ের জন্য। অন্যত্র বা ভিনরাজ্যে থাকা ভোটারদের সুবিধার্থে অনলাইন ফর্ম জমা দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্য ও জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের আগামী দু’দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে হবে, যাতে পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
নতুন এনুমারেশন ফর্মগুলি পূর্ববর্তী তথ্যসহ পূর্ণ থাকবে, ফলে যাচাই প্রক্রিয়া সহজ ও ত্রুটিমুক্ত হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট করে বলেন, আধার কার্ড পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও তা নাগরিকত্ব, জন্মতারিখ বা আবাসস্থানের প্রমাণ নয়।
পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও সংঘাত নেই। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে, এবং রাজ্য সরকারও তার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন পরিচালনা ও তালিকা প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী সরবরাহ রাজ্যের বাধ্যবাধকতা।”
কেরলে স্থানীয় সংস্থার ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি বলে সেখানে এই সংশোধন চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে, অসমে নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া চলায় সেখানে বিশেষ নিবিড় সংশোধন পরে হবে।
জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “ভোটার তালিকা সঠিক ও স্বচ্ছ রাখার জন্যই এই বিশেষ প্রক্রিয়া জরুরি। নিয়মিত স্থানান্তর, মৃত ভোটারের নাম না মুছে যাওয়া, কিংবা বিদেশি নাগরিকের ভুল অন্তর্ভুক্তি— এসব সমস্যা সমাধানে এই উদ্যোগ অপরিহার্য।”
স্বাধীনতার পর এ নিয়ে নবমবার এমন নিবিড় সংশোধন হচ্ছে। ১৯৫১ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে আট দফা এই প্রক্রিয়া হয়েছিল, শেষবার হয়েছিল ২০০২–২০০৪ সালে। কমিশনের লক্ষ্য, বিহারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও এক নিখুঁত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা— যেখানে কোনও যোগ্য নাগরিক বাদ পড়বে না এবং কোনও অযোগ্য নাম থাকবে না।
নয়াদিল্লি : বিহারে সফলভাবে প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর এবার দ্বিতীয় দফায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision বা SIR) চালু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ঘোষণা করেন, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে এই পর্ব শুরু হবে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে— আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লক্ষদ্বীপ, ছত্তিসগড়, গোয়া, গুজরাত, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। তবে অসমে নাগরিকত্ব যাচাই সংক্রান্ত পৃথক প্রক্রিয়া চলায় সেখানে এই সংশোধন পরে ঘোষণা করা হবে।
কমিশনের সূচি অনুযায়ী ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে তালিকার গণনা প্রক্রিয়া। ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা, ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে দাবি ও আপত্তি জমা দেওয়ার সময়সীমা। শুনানি শেষ হবে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে, এবং ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
বিহারে প্রথম পর্বে প্রায় ৯০ হাজার ভোটকেন্দ্র জুড়ে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ হয়েছে বলে জানান জ্ঞানেশ কুমার। তিনি বলেন, “বিহারের ৭.৫ কোটি ভোটারের অংশগ্রহণ একটি নজির সৃষ্টি করেছে। এই সফল্যই অন্য রাজ্যগুলির জন্য দৃষ্টান্ত।” সোমবার রাত ১২টা থেকেই যেসব রাজ্যে দ্বিতীয় দফা সংশোধন হবে, সেখানকার ভোটার তালিকা ‘ফ্রিজ’ করা হবে বলে জানান তিনি। এরপর প্রতিটি ভোটারকে দেওয়া হবে ইউনিক এনুমারেশন ফর্ম, যেখানে বর্তমান তালিকার সব তথ্য থাকবে।
এই ফর্মগুলির সাহায্যে ভোটাররা তাঁদের তথ্য যাচাই করতে পারবেন। যাঁদের নাম ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় অথবা তাঁদের বাবা-মায়ের নাম সেখানে ছিল, তাঁদের অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ২০০২–২০০৪ সালের বিশেষ সংশোধনের সময়কার তালিকাও কমিশনের ওয়েবসাইট voters.eci.gov.in-এ প্রকাশ করা হবে, যাতে নাগরিকরা সরাসরি অনলাইনে নিজেদের নাম যাচাই করতে পারেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে। মাঠপর্যায়ের কর্মীরা বা বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) প্রত্যেকটি পরিবারে অন্তত তিনবার যাবেন ভোটার তালিকা যাচাইয়ের জন্য। অন্যত্র বা ভিনরাজ্যে থাকা ভোটারদের সুবিধার্থে অনলাইন ফর্ম জমা দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্য ও জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের আগামী দু’দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে হবে, যাতে পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
নতুন এনুমারেশন ফর্মগুলি পূর্ববর্তী তথ্যসহ পূর্ণ থাকবে, ফলে যাচাই প্রক্রিয়া সহজ ও ত্রুটিমুক্ত হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট করে বলেন, আধার কার্ড পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও তা নাগরিকত্ব, জন্মতারিখ বা আবাসস্থানের প্রমাণ নয়।
পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও সংঘাত নেই। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে, এবং রাজ্য সরকারও তার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন পরিচালনা ও তালিকা প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী সরবরাহ রাজ্যের বাধ্যবাধকতা।”
কেরলে স্থানীয় সংস্থার ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি বলে সেখানে এই সংশোধন চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে, অসমে নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া চলায় সেখানে বিশেষ নিবিড় সংশোধন পরে হবে।
জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “ভোটার তালিকা সঠিক ও স্বচ্ছ রাখার জন্যই এই বিশেষ প্রক্রিয়া জরুরি। নিয়মিত স্থানান্তর, মৃত ভোটারের নাম না মুছে যাওয়া, কিংবা বিদেশি নাগরিকের ভুল অন্তর্ভুক্তি— এসব সমস্যা সমাধানে এই উদ্যোগ অপরিহার্য।”
স্বাধীনতার পর এ নিয়ে নবমবার এমন নিবিড় সংশোধন হচ্ছে। ১৯৫১ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে আট দফা এই প্রক্রিয়া হয়েছিল, শেষবার হয়েছিল ২০০২–২০০৪ সালে। কমিশনের লক্ষ্য, বিহারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও এক নিখুঁত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা— যেখানে কোনও যোগ্য নাগরিক বাদ পড়বে না এবং কোনও অযোগ্য নাম থাকবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন