বাংলায় ভোটার তালিকা নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শিলিগুড়ি : এসআইআর বা ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। দলীয় একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে বিমানবন্দরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু।
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “নো এসআইআর, নো ইলেকশন।” তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সবসময় দ্বিচারিতা করেন’। মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানানোর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ইলেকশন কমিশন এআই স্ক্যান করলে ভুয়ো নথি অবশ্যই ধরা পড়বে। সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর মন্তব্য – রেখা পাত্র যদি সেখান থেকে লড়েন, হারবেন। কারণ ‘সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর অত্যাচার কোনও মহিলা ভোলেনি’। তাঁর দাবি, ওই এলাকার বিধানসভা আসনগুলিতে বিজেপি প্রার্থীরাই জিতবেন।
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ইলেকশন কমিশনের ভূমিকা আরও শক্ত হওয়া উচিত ছিল। এবং রাজ্য সরকার নাকি ভুয়ো, ডুপ্লিকেট এবং মৃত ভোটারদের নাম তালিকায় রাখতে সরাসরি নির্দেশ দিচ্ছে।
CAA-র সময় মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় NRC বলে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মুসলিমরা সেই ফাঁদে পা দেয়নি। তাঁরা বুঝেছেন, মুখ্যমন্ত্রী একজন মিথ্যাবাদী।” ওয়াকফ বিল নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদ্যোগে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনার পদক্ষেপকে সবাই সমর্থন করেছেন, অথচ মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে বিল কার্যকর হতে দেবেন না বললেও পরে তা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্ন করতে আগামী দুই মাস জুড়ে লড়াই চলবে বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি, প্রত্যেক জোনে অবজার্ভার দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ৫২ হাজার বিএলএ বর্তমানে কাজ করছে। শুভেন্দুর বক্তব্য, “স্বচ্ছ ভোটার তালিকা না হলে ভোট হবে না। এপ্রিল মাসে ভোট না হলে সরকার গঠিত হবে না। আর সরকার গঠিত না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রাষ্ট্রপতি শাসন শুরু হবে।”
৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটাই এখন দেখার।
মতুয়া ভোট নিয়েও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। বলেন, মতুয়ারা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীরাও প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার ভাষা ও জাতের ভিত্তিতে হিন্দুদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। শেষে বিহারের রাজনীতির উদাহরণ টেনে বলেন, “বিহারে যা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গেও তাই হবে।”
শিলিগুড়ি : এসআইআর বা ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। দলীয় একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে বিমানবন্দরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু।
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “নো এসআইআর, নো ইলেকশন।” তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সবসময় দ্বিচারিতা করেন’। মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানানোর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ইলেকশন কমিশন এআই স্ক্যান করলে ভুয়ো নথি অবশ্যই ধরা পড়বে। সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর মন্তব্য – রেখা পাত্র যদি সেখান থেকে লড়েন, হারবেন। কারণ ‘সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর অত্যাচার কোনও মহিলা ভোলেনি’। তাঁর দাবি, ওই এলাকার বিধানসভা আসনগুলিতে বিজেপি প্রার্থীরাই জিতবেন।
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ইলেকশন কমিশনের ভূমিকা আরও শক্ত হওয়া উচিত ছিল। এবং রাজ্য সরকার নাকি ভুয়ো, ডুপ্লিকেট এবং মৃত ভোটারদের নাম তালিকায় রাখতে সরাসরি নির্দেশ দিচ্ছে।
CAA-র সময় মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় NRC বলে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মুসলিমরা সেই ফাঁদে পা দেয়নি। তাঁরা বুঝেছেন, মুখ্যমন্ত্রী একজন মিথ্যাবাদী।” ওয়াকফ বিল নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদ্যোগে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনার পদক্ষেপকে সবাই সমর্থন করেছেন, অথচ মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে বিল কার্যকর হতে দেবেন না বললেও পরে তা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্ন করতে আগামী দুই মাস জুড়ে লড়াই চলবে বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি, প্রত্যেক জোনে অবজার্ভার দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ৫২ হাজার বিএলএ বর্তমানে কাজ করছে। শুভেন্দুর বক্তব্য, “স্বচ্ছ ভোটার তালিকা না হলে ভোট হবে না। এপ্রিল মাসে ভোট না হলে সরকার গঠিত হবে না। আর সরকার গঠিত না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রাষ্ট্রপতি শাসন শুরু হবে।”
৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটাই এখন দেখার।
মতুয়া ভোট নিয়েও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। বলেন, মতুয়ারা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীরাও প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার ভাষা ও জাতের ভিত্তিতে হিন্দুদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। শেষে বিহারের রাজনীতির উদাহরণ টেনে বলেন, “বিহারে যা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গেও তাই হবে।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন