রাহুল জানান, তাঁর দলের হাতে রয়েছে “একশো শতাংশ প্রমাণ”— এমনকি ৫ লক্ষ ২১ হাজারেরও বেশি ডুপ্লিকেট ভোটারের নাম পাওয়া গিয়েছে।
নয়াদিল্লি : হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি দাবি করেন, রাজ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ ভুয়ো ভোট পড়েছে, যা রাজ্যের মোট ভোটারের প্রায় ১২ শতাংশ। তাঁর কথায়, “হরিয়ানায় দুই কোটি ভোটার, তার মধ্যে ২৫ লক্ষই নকল। প্রতি আট জন ভোটারের মধ্যে একজন ভুয়ো।”
রাহুল জানান, তাঁর দলের হাতে রয়েছে “একশো শতাংশ প্রমাণ”— এমনকি ৫ লক্ষ ২১ হাজারেরও বেশি ডুপ্লিকেট ভোটারের নাম পাওয়া গিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একাধিক স্লাইডে এই তথ্য পেশ করেন, যার মধ্যে এক বিস্ময়কর উদাহরণও তুলে ধরেন— এক ব্রাজিলীয় মডেলের ছবি নাকি একাধিক নামে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন ‘সীমা’, ‘সুইটি’ ও ‘সরস্বতী’। অভিযোগ, ওই একই ছবির ভোটারই নাকি ২২ বার ভোট দিয়েছেন।
রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি “পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে বিকৃত” করেছে। তিনি বলেন, “সব এক্সিট পোলেই কংগ্রেসের জয় দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ডাক ভোটের ফল ও বাস্তব ফল মেলেনি। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল হরিয়ানায়। পরিকল্পনা করে কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ জয়কে পরাজয়ে পরিণত করা হয়েছে।”
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সাইনিকে কটাক্ষ করেও রাহুল বলেন, “ভোটের দু’দিন পরেই ওঁর মুখে হাসি আর মুখে ‘ব্যবস্থা’ শব্দটা লক্ষ্য করুন। তখনই সবাই বলছিল কংগ্রেস ঝড় তুলছে।”
তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ও নেতা উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় একসঙ্গে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত। উদাহরণ হিসেবে বলেন, “পলওয়াল জেলার এক বিজেপি নেতার বাড়ির ঠিকানায় নথিভুক্ত ৬৬ জন ভোটার। এমনকি একজনের ঠিকানায় ৫০০ ভোটার পর্যন্ত!” নাম নিয়ে তিনি বলেন, “দলচাঁদ নামের এক বিজেপি নেতা ইউপি ও হরিয়ানা দুই জায়গাতেই ভোট দেন। মথুরার বিজেপি সরপঞ্চ প্রহ্লাদও একই কাজ করেছেন। এমন ক’জন নয়, হাজার হাজার।”
রাহুলের আরও দাবি, ভোটার তালিকায় ‘হাউস নম্বর জিরো’ নামে যেসব ঠিকানা দেখানো হয়েছে, সেগুলি আসলে ভুয়ো। “আমরা গিয়ে দেখেছি, যাদের গৃহহীন দেখানো হয়েছে, তারা নিজের ঘরেই থাকে। নির্বাচন কমিশনার জনগণকে মিথ্যা বলছেন। এটা ভুল নয়, পরিকল্পিত কৌশল,” বলেন তিনি।
নিজের অভিযোগকে “প্রমাণিত তথ্যনির্ভর” দাবি করে রাহুল বলেন, “আমি শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, গোটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই প্রশ্ন করছি। কমিশন ও বিজেপি হাত মিলিয়ে কাজ করছে।” তাঁর বক্তব্য, “যদি নির্বাচন কমিশন এই ডুপ্লিকেট ভোটারদের বাদ দেয়, তাহলে নির্বাচনে সঠিক ফলাফল আসবে। কিন্তু তারা তা করছে না, কারণ তারা ন্যায্য ভোট চাইছে না।”
তিনি আরও সতর্ক করেন, এই একই “সরকার চুরি”র কৌশল এবার বিহারেও প্রয়োগ করতে চলেছে বিজেপি। “বিহারে অনেক ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা নিজেদের ঠিকানাতেই রয়েছেন। আমাদের এজেন্টরা ভোটের আগে জানতে পারেন না, কারণ শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকা হাতে আসে,” বলেন রাহুল।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের সূত্র রাহুলের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, হরিয়ানার ভোটার তালিকা নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক আপিলই জমা পড়েনি। রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ২২টি মামলাই এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন। কমিশনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, “যদি সত্যিই ডুপ্লিকেট ভোটার থাকে, তাহলে কীভাবে রাহুল গান্ধী নিশ্চিত হলেন যে তারা বিজেপিকেই ভোট দিয়েছে? তারাও তো কংগ্রেসকেও ভোট দিতে পারত।”
নয়াদিল্লি : হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি দাবি করেন, রাজ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ ভুয়ো ভোট পড়েছে, যা রাজ্যের মোট ভোটারের প্রায় ১২ শতাংশ। তাঁর কথায়, “হরিয়ানায় দুই কোটি ভোটার, তার মধ্যে ২৫ লক্ষই নকল। প্রতি আট জন ভোটারের মধ্যে একজন ভুয়ো।”
রাহুল জানান, তাঁর দলের হাতে রয়েছে “একশো শতাংশ প্রমাণ”— এমনকি ৫ লক্ষ ২১ হাজারেরও বেশি ডুপ্লিকেট ভোটারের নাম পাওয়া গিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একাধিক স্লাইডে এই তথ্য পেশ করেন, যার মধ্যে এক বিস্ময়কর উদাহরণও তুলে ধরেন— এক ব্রাজিলীয় মডেলের ছবি নাকি একাধিক নামে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন ‘সীমা’, ‘সুইটি’ ও ‘সরস্বতী’। অভিযোগ, ওই একই ছবির ভোটারই নাকি ২২ বার ভোট দিয়েছেন।
রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি “পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে বিকৃত” করেছে। তিনি বলেন, “সব এক্সিট পোলেই কংগ্রেসের জয় দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ডাক ভোটের ফল ও বাস্তব ফল মেলেনি। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল হরিয়ানায়। পরিকল্পনা করে কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ জয়কে পরাজয়ে পরিণত করা হয়েছে।”
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সাইনিকে কটাক্ষ করেও রাহুল বলেন, “ভোটের দু’দিন পরেই ওঁর মুখে হাসি আর মুখে ‘ব্যবস্থা’ শব্দটা লক্ষ্য করুন। তখনই সবাই বলছিল কংগ্রেস ঝড় তুলছে।”
তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ও নেতা উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় একসঙ্গে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত। উদাহরণ হিসেবে বলেন, “পলওয়াল জেলার এক বিজেপি নেতার বাড়ির ঠিকানায় নথিভুক্ত ৬৬ জন ভোটার। এমনকি একজনের ঠিকানায় ৫০০ ভোটার পর্যন্ত!” নাম নিয়ে তিনি বলেন, “দলচাঁদ নামের এক বিজেপি নেতা ইউপি ও হরিয়ানা দুই জায়গাতেই ভোট দেন। মথুরার বিজেপি সরপঞ্চ প্রহ্লাদও একই কাজ করেছেন। এমন ক’জন নয়, হাজার হাজার।”
রাহুলের আরও দাবি, ভোটার তালিকায় ‘হাউস নম্বর জিরো’ নামে যেসব ঠিকানা দেখানো হয়েছে, সেগুলি আসলে ভুয়ো। “আমরা গিয়ে দেখেছি, যাদের গৃহহীন দেখানো হয়েছে, তারা নিজের ঘরেই থাকে। নির্বাচন কমিশনার জনগণকে মিথ্যা বলছেন। এটা ভুল নয়, পরিকল্পিত কৌশল,” বলেন তিনি।
নিজের অভিযোগকে “প্রমাণিত তথ্যনির্ভর” দাবি করে রাহুল বলেন, “আমি শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, গোটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই প্রশ্ন করছি। কমিশন ও বিজেপি হাত মিলিয়ে কাজ করছে।” তাঁর বক্তব্য, “যদি নির্বাচন কমিশন এই ডুপ্লিকেট ভোটারদের বাদ দেয়, তাহলে নির্বাচনে সঠিক ফলাফল আসবে। কিন্তু তারা তা করছে না, কারণ তারা ন্যায্য ভোট চাইছে না।”
তিনি আরও সতর্ক করেন, এই একই “সরকার চুরি”র কৌশল এবার বিহারেও প্রয়োগ করতে চলেছে বিজেপি। “বিহারে অনেক ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা নিজেদের ঠিকানাতেই রয়েছেন। আমাদের এজেন্টরা ভোটের আগে জানতে পারেন না, কারণ শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকা হাতে আসে,” বলেন রাহুল।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের সূত্র রাহুলের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, হরিয়ানার ভোটার তালিকা নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক আপিলই জমা পড়েনি। রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ২২টি মামলাই এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন। কমিশনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, “যদি সত্যিই ডুপ্লিকেট ভোটার থাকে, তাহলে কীভাবে রাহুল গান্ধী নিশ্চিত হলেন যে তারা বিজেপিকেই ভোট দিয়েছে? তারাও তো কংগ্রেসকেও ভোট দিতে পারত।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন